কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : কাজিপুর উপজেলা মৎস্য বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে গোটা কাজিপুরের যমুনা নদী জুড়ে চলছে অবাদে জাটকা নিধন ও প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি, দেখার নাই কেউ।
শনিবার (২মার্চ) দুপুরে সরজমিনে উপজেলার মেঘাইঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় আড়তে আড়তদারের মাধ্যমে দরকষাকষি করে বিক্রি হচ্ছে যমুনা নদী থেকে ধরা জাটকা ইলিশ।
এসব জাটকা নিধনে জেলেরা ব্যবহার করছে, কোনা জাল, বেড় জাল,ও কারেন্ট জাল। এছাড়াও রাতে ব্যাটারির সাহায্যে বিদ্যুৎ প্রয়োগ করেও চলে অবৈধভাবে মাছ ধরার কার্যক্রম।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তদারকির অভাবে, প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যমুনা নদী থেকে বিপুল পরিমান জাটকা আহরণ করে সেগুলো ঢেকুরিয়া ঘাট, মেঘাইঘাট, শিংড়াবাড়ী ও শুভগাছা ঘাটসহ, বিভিন্ন হাট-বাজারে নির্দ্বিধায় করছে বিক্রয়।
জেলা মৎস্যজীবীদের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টু জানান, জেলেদের সরকারী চাল, গরু-ছাগলের অনুদান থাকা সত্ত্বেও তারা জাটকা নিধন করছে এর কারণ। প্রকৃত জেলে যারা আছেন তারা অনুদান পাচ্ছেনা, সরকারি বিভিন্ন অনুদান থেকে বঞ্চিত তারা যার ফলে জাটকা নিধন বন্ধ হচ্ছে না। এছাড়াও কিছু জেলেরা গোপনে মৎস্য অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সাথে যোগসাজশে জাটকা নিধন করে যাচ্ছে। যদি জেলেদের তালিকা মেম্বার-চেয়ারম্যান মাধ্যমে না করে জেলেদের প্রতিনিধির মাধ্যমে করা হতো তাহলে সঠিক জেলেরা সরকারি অনুদান পেত, এতে করে জাটকা নিধন বন্ধ করা সম্ভব হতো।
এবিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে ফোন পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহরাব হোসেন বলেন, মৎস্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।