জুমবাংলা ডেস্ক : একটি ল্যাপটপ এবং একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে মাত্র কয়েক মিনিটের কাজ। এতেই পরিবর্তন করা হচ্ছে মুঠোফোনের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি বা আইএমইআই নাম্বার। দেওয়া হচ্ছে ১৫ ডিজিটের নতুন নম্বর। কিংবা মুছে ফেলা হচ্ছে পুরো আইএমইআই নাম্বারটি।
ছিনতাই ও চোরাই মোবাইল ফোন সংগ্রহের পর আইএমইআই পরিবর্তন করে সেই ফোন বিক্রি। তিন ধাপে অভিনবভাবে কাজটি করছে একটি চক্র। এদের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে আছে পাশের দেশ ভারতেও। আইএমইআই পরিবর্তন করা মোবাইলগুলো ভারতে পাচারের তথ্য পেয়েছে র্যাব। সম্প্রতি সংস্থাটির হাতে চক্রের একজন গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে মোহাম্মদপুরের একটি মোবাইল দোকানে বসে মুঠোফোনের আইএমআই নম্বর পরিবর্তন করে আসছেন ইসমাইল ওরফে মানিক। বেশ কিছুদিন ধরে অনুসন্ধান শেষে র্যাব-২ এর একটি দল অভিযান চালায় মোহাম্মাদিয়া হাউজিং লিমিটেডের ওই দোকানে। গ্রেফতার করা হয় মানিককে।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, মানিকের চক্রে কাজ করেন আরও দুই জন। একজন চোরাই ও ছিনতাই হওয়া ফোন সংগ্রহ করেন মোবাইল ছিনতাই ও চুরি নেটওয়ার্কের কাছ থেকে। অন্যজন ফোনের আইএমইআই পরিবর্তনের পর সেগুলো বিক্রির পাশাপাশি ভারতেও পাচার করেন। চক্রটির প্রতি মাসেই চোরাই ফোনের চালান ভারতে পাচারের তথ্যও পেয়েছে র্যাব।
জননিরাপত্তায় আরও ভয়াবহ তথ্য দিচ্ছে র্যাব। বলছে, অপরাধীরা আইএমইআই পরিবর্তন করা ফোন ব্যবহার করলে চিহ্নিত করা অসম্ভব। অন্যদিকে সফটওয়্যারগুলো সহজলভ্য হওয়ায় বাড়ছে চক্রগুলোর এই অপরাধ প্রবণতা।
তবে চক্রের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ র্যাব কা করছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।