জুমবাংলা ডেস্ক : রমজান মাস এলে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয় খেজুরের। ইফতারের এই অনুষঙ্গ পাতে রাখতে বাড়তি চেষ্টা থাকে মানুষের। তবে অন্যান্য সব খাদ্যপণ্যের মতোই খেজুরেও ভেজাল করছেন রাজধানীর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর বিক্রি, ক্রেতাকে আকর্ষনীয় করতে খেজুরে তেল মিশিয়ে বিক্রি করছেন তারা। একে খেজুরের ‘সার্ভিসিং’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এক খেজুর ব্যবসায়ী।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন আকার ও নামের খেজুর বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তবে ভোক্তারা বলছেন, তাদের বোকা বানাতেই বাহারি নামে এসব খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে। তবে নানান নামের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নেই বিক্রেতারাও। তারা জানান, খেজুরের কার্টুনের গায়ে নাম লেখা থাকে। তারা নিজেরা নাম তৈরি করেন না।
এদিকে কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর। এসব খেজুর চেনার উপায়ও বলে দিয়েছেন তারা। বিক্রেতাদের মতে, যেসব প্যাকেটের অর্ধেকের বেশি খেজুরের বোটা সঙ্গে রয়েছে সেগুলো নতুন খেজুর বলে ধরে নেওয়া যায়। আর যেসব খেজুরে বোটা সঙ্গে নেই সেগুলো পুরনো খেজুর এবং এ খেজুরে পোকা থাকতে পারে। পুরনো খেজুর কালো হয়ে যায় এবং একটু নরম হয়ে যায় বলে জানান বিক্রেতারা। অন্যদিকে নতুন খেজুর একটু শক্ত থাকে এবং বীজের সঙ্গে আকার ধরে রাখে।
জানা গেছে, পুরনো খেজুর ক্রেতার কাছে আকর্ষণীয় করতে সরিষার তেল মিশিয়ে চকচকে করা হয়। একে তারা বলেন, খেজুরে সার্ভিসিং করা। রাজধানীর বেশিরভাগ বিক্রেতাই এই কৌশল নেন বলেও জানান এক খেজুর বিক্রেতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।