জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন অব্যাহত আছে। বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের খলিফাচর (জোহরপুর) থেকে শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের দশরশিয়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীভাঙন চলছে। ভাঙনের আতঙ্কে নিশিপাড়া চরে ঘর-বাড়ি স্থানান্তর করছে মানুষ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নদীভাঙনের ঝুঁকিতে আছে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, আশ্রয়ন কেন্দ্র, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণপু এম এ উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণপুরের বাতাস মোড় বাজার, কয়েক হাজার কৃষকের আবাদি জমিসহ প্রায় ৫ হাজার ঘর-বাড়ি।
পদ্মা পাড়ের বাসিন্দা মুনিরুল ইসলাম বলেছেন, পদ্মা নদীতে পানি বাড়লে এবং কমলে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে উজানের ঢলের তোড়ে নদীভাঙন হচ্ছে। প্রতিবছরই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু, স্থায়ী পদক্ষেপ নেয় না সংশ্লিষ্টরা।
তিনি বলেন, পদ্মা নদীর পাড়ে হাজার হাজার মানুষের বাস। ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি আমাদের। জিও ব্যাগ বা জিও টিউব ব্যবহার করে অস্থায়ী নদীভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, এতে তেমন কাজ হয় না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন হচ্ছে। ভাঙনের খবর সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান।
স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে বিষের বোতল নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণী
তিনি বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙন ঠেকাতে আপাত কোনো পরিকল্পনা নেই। যেসব এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে, সেগুলো চরাঞ্চল। অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন ঠেকানো অসম্ভব। ১০০-২০০ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন হলে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা যেতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।