ধর্ম ডেস্ক : এ রজনীতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইতে হবে। রহমত, বরকত ও কল্যাণ চাইতে হবে। জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের প্রার্থনা করতে হবে। সবচেয়ে বেশি বেশি যে দোয়াটি পড়বেন, আজ সেটি নিয়েই কথা বলবো।
আম্মাজান হযরত আয়েশা রা থেকে বর্ণিত, আমি নবিজীকে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি যদি জানতে পারি আজ লাইলাতুল কদর তাহলে আমি কী দোয়া করব?
নবিজি বললেন তুমি বলবে اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউ্য়ুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা`ফু আন্নী) অর্থাৎ,হে আল্লাহ! আপনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করতেই ভালবাসেন। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। (জামে তিরমিজি -৩৫১৩)
কিভাবে এ রাত কাটাবে? তাসবিহ- তাহলিল, জিকির- আজকার, তাওবা- ইস্তেগফার, দোয়া- দরূদ, কুরআন তেলাওয়াত করবে এবং অধিক পরিমাণ নফল নামাজ পড়বে। বিশেষকরে সালাতুত তাসবিহ পড়ার চেষ্টা করবে।
নিজের, পরিবার- পরিজন, আত্মীয় – স্বজন চাই জীবিত হোক বা মৃত হোক এবং গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করবে। এ রাতে বিশেষ নিয়মে নামাজ পড়ার কি কোন নিয়ম আছে?
নির্দিষ্ট কিছু সূরা দ্বারা বিশেষ নিয়মে নামাজ পড়া যা সাধারণ মানুষের মাঝে প্রসিদ্ধ আছে, শরিয়তে এর কোন ভিত্তি নেই৷ বরং অন্যান্য সময়ে নফল পড়ার মত এ রাতেও নফল পড়বে৷ হ্যাঁ, যাদের পক্ষে সম্ভব হবে তারা বড় বড় সূরা দিয়ে দীর্ঘ সময় কেয়াম, লম্বা রুকু এবং দীর্ঘ সময় সেজদা করে নামাজ পড়তে পারেন৷
আল্লাহ তায়ালা সকলকেই যথাযথভাবে এ রাতের কদর করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।