বিনোদন ডেস্ক : অভিনেত্রী মাহিরা খানের ওপর বেজায় চটেছেন পাকিস্তানের সিনেটর আফনান উল্লাহ খান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাহিরাকে নির্লজ্জ, অর্থলোলুপ, এমনকি, মানসিক ভাবে অসুস্থ বলেও দাবি করলেন তিনি। কিন্তু কেন? কী করেছেন মাহিরা? পাকিস্তানি অভিনেত্রী প্রকাশ করেছিলেন, তিনি শাহরুখ খানকে ভালবাসেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চান বলেই বলিউডে গিয়েছেন।
মাহিরা জানান, ‘রইস’ (২০১৭)-এর পর আবার নতুন কোনও কাজে শাহরুখের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চান। এতেই পাকিস্তানের সিনেটরের চোখে বিষ হয়ে উঠেছেন তিনি। মাহিরা যে শাহরুখ খানের বড় ভক্ত, বহু বার এ কথা স্বীকার করেছেন নিজ মুখেই। সম্প্রতি, পাকিস্তানের এক শিল্পসভায় আনোয়ার মকসুদের দ্বারা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে, মাহিরা তাঁর বলিউডে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন। সেখানেই জানান, শাহরুখই তাঁর স্বপ্নের নায়ক। ইন্ডাস্ট্রির যে যা-ই বলুক, ‘বাদশা’ একেবারে অন্য মানুষ।
তাঁর কথায়, ‘শাহরুখ আমার সময়ের নায়ক। আমি ওঁকে ভালবাসতাম। স্বপ্ন দেখতাম ওঁর সঙ্গে কাজ করব। সেই স্বপ্ন কোনও দিন যে বাস্তব হবে ভাবতেও পারিনি।’ মাহিরার এ ধরনের কথা সিনেটরের ভাল লাগেনি।
মাহিরা আরও বলেন, ‘আমি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিই, তখন অনেকেই আমাকে অস্ত্রোপচার করে নাক ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছিল, এবং আমি বলেছিলাম, না! আমি যদি আমার নাক কেটে ফেলি, তাহলে কী বাকি থাকে? কিন্তু এক বার শাহরুখ এবং আমি একটি দৃশ্য করছিলাম, তিনি বললেন, ‘দেখো, এটা নাকের লড়াই!’
সেই অনুষ্ঠানে মকসুদ এর পর মাহিরাকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেন। মাহিরা শুরুতে হেসে চুপ করে থাকেন। তার পরই জবাব দিলেন, ‘আমি পাঠান-এর দলের লোক।’ সেই অনুষ্ঠান দেখে মাহিরার কড়া সমালোচনা করে আফনান উর্দুতে একটি টুইট করেছেন, যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
সিনেটর লিখেছেন, ‘মাহিরা খানের মাথার গোলমাল রয়েছে। আনোয়ার মকসুদ জীবনের এই দিকে মাতাল। উভয়ই নির্লজ্জ, জনতার রোষে অভিশপ্ত।’ সিনেটর আরও লেখেন, ‘মাহিরা খানের চরিত্রের ওপর বই লেখা যেতে পারে, তিনি অর্থের জন্য ভারতীয় অভিনেতাদেরও তোষামোদ করেন। আর আনোয়ার মকসুদ কুসংস্কারে ভরা একটি অভিশপ্ত চরিত্র।’
সবুজ শাড়ির ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে নাভি, নেট দুনিয়ায় ঝড় তুললো পর্দার পর্ণা
তবে অনেকেই আফনানের সেই টুইটের নিন্দা করেছেন এবং মাহিরাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।