বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের বাদশা হিসেবেই খ্যাত সুপারস্টার শাহরুখ খান। কর্মের মধ্য দিয়ে বিচরণ করেছেন লক্ষ-কোটি অনুরাগীর হৃদয়ে। এমন হিরোকে নিয়ে ভক্তকুলের উৎসাহ, আগ্রহ থাকবে না, তা কি হয়! আর যখন জানা যায় যে, পছন্দের নায়কের খাবারে অনীহা, তখন তো অনুরাগীদের কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বটেই।
এক সাক্ষাৎকারে এমনই তথ্য দিয়েছেন বলিউডের আরেক তারকা আলিয়া ভাট। তিনি জানান, “খাবার নিয়ে বড্ড অনীহা শাহরুখ খানের। বলা ভালো, খাবারের সঙ্গে সম্পর্ক মোটেই ভালো নয় শাহরুখ খানের। ‘ডিয়ার জিন্দেগি’ সিনেমার শ্যুটিং চলাকালীন শাহরুখকে কোনোদিনও মুখ চালাতে দেখেননি তিনি।” আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরপরই কিং খানের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন তার বিশাল ভক্তকুল।
২০১৬ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেছিলেন, ‘শাহরুখের কোনও ব্যাপারই আমার অপছন্দ নয়। কিন্তু হ্যাঁ, তার স্রেফ একটিমাত্র ব্যাপার রয়েছে, যা দেখে খুব খারাপ লাগে। শাহরুখ প্রায় কিচ্ছু খায় না।’
আলিয়া ভাট আরও বলেন, ‘একটি ঘটনা বললে বুঝবেন। ‘ডিয়ার জিন্দেগি’ সিনেমার সেটে খুব একটা হইচই হতো না। সেরকমই নির্দেশনা ছিল। কঠিন সব শট, লম্বা লম্বা সব সংলাপ- ইত্যাদি থাকার কারণেই ছিল এই সতর্কতা। সোজা কোথায়, যাতে অভিনেতা কিংবা পরিচালকের কাজে কোনোরূপ ব্যাঘাত না ঘটে। একেকবার আমরা একটি আস্ত সিকোয়েন্স এক শটে নিয়ে নিয়েতাম।’
লাস্যময়ী এই বলি অভিনেত্রী বলেন, ‘একবার শাহরুখের খুব কাছে দাঁড়িয়ে শট দিচ্ছি। এমন সময় তার পেটের মধ্যে থেকে গুড়গুড় শব্দ ভেসে এল। স্পষ্ট শুনতে পেলাম। বুঝলাম, সারাদিন এক টুকরো খাবারও তার পেটে যায়নি। সঙ্গে সঙ্গেই বিস্কুট খাইয়ে দিতাম। এত খারাপ লাগত যে, কী বলব! অনেকবার তাকে বলেছি, যেন তিনি অন্তত খাওয়া-দাওয়াটা ঠিকমতো করেন।’ ২০১৯ সালে নাইনএক্সএম স্টারট্রাক অনুষ্ঠানে অবশ্য এই প্রসঙ্গে এক মর্মস্পর্শী কারণ জানান শাহরুখ। তিনি জানান ঠিক কী কারণে তার খাবার খাওয়ার অভ্যাসটুকুই পুরোপুরি বদলে গেছে।
বাদশাহর কথায়, ‘আমার ২৫ বছর বয়সে মা মারা যান। তার আগে পর্যন্ত উনি নিজের হাতে আমাকে খাবার খাইয়ে দিতেন। ডাল, ভাত, পেঁয়াজ, আচার, পাঁপড়- এসবকিছুই। তার হাতের মাখা খাবারই বরাবর খেতাম আমি। তাই তার মৃত্যুর পর সত্যি বলতে কী, খাবারের প্রতি কেমন একটা অনীহা জন্মে যায় আমার। আমি আমার বাড়ির খাবার খেতে এত ভালোবাসতাম যে, এরপর থেকে অন্য কোনও খাবার আমার মুখেই উঠত না।
তার মানে এই নয় যে, সেসব খারাপ খাবার। খাবার মানেই ভালো, তা সে যে খাবারই হোক। কিন্তু সত্যি এটাই যে, আমার বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তাদের হাতে তৈরি খাবার আমার না পেয়ে খাওয়া নিয়ে প্রবল অনীহা জন্মে গিয়েছিল। এখন আমার বাড়ির লোক কিংবা আমার টিম যে যে খাবার দেয়, তাই-ই খাই। সে যে খাবারই দিক। কিন্তু নিজে থেকে কিছু ইচ্ছে করে না খেতে।’ শাহরুখ খানের মুখে এমন মর্মস্পর্শী ঘটনা শুনে চোখ ভিজে উঠেছিল নেটপাড়ার বাসিন্দাদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।