শাহরুখ-গৌরির জীবন থেকে পাঁচটি শিক্ষা

বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের কিং খানের কাছ থেকে শুধু অভিনয় নয় বরং আরো অনেক কিছুই শেখার আছে। শাহরুখ এবং গৌরি খান হয়তো হতে পারেন সবচেয়ে সেরা যুগল যখন আমরা দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজতে যাব। বন্ধু থেকে প্রেমিক হওয়ার কারণে তারা জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই অনায়াসেই পেরিয়ে এসেছেন যেগুলো প্রতিটি যুগলই তাদের জীবদ্দশায় মোকাবিলা করেন। এখানে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে পাঁচটি সম্পর্ক বিষয়ক শিক্ষা তুলে ধরা হলো…

১. কয়েক দশকের সম্পর্ক
তারা এমন একটি ইন্ড্রাস্টিতে কাজ করেন যেখানে ব্রেকআপ এবং ডিভোর্স প্রতিনিয়তই সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। কিন্তু শাহরুখ এবং গৌরি খান বলিউডের সেইসব ব্যতিক্রমী জুটিগুলোর একটি যারা দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সংসার করছেন। এ বছরের অক্টোবরে এই দম্পতি তাদের বিয়ের ২৬তম বার্ষিকী উদযাপন করবেন। আর তাদের প্রেমের বয়স হবে তিন দশকের বেশি!

২. সব বাধা অতিক্রম
কোনো সম্পর্কই নিখুঁত নয়। কিন্তু যারা একত্রে থাকতে চান তারা একে নিখুঁত করে তোলেন। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও এই যুগল যা চেয়েছে সে জন্য লড়াই করেছে। পেশাগতভাবেও তারা পরস্পরের প্রতি খুবই সহযোগীতামূলক ছিলেন। এক টিভি শো’তে একবার শাহরুখ বলেছিলেন, ‘দিল আশনা হ্যায়’ সিনেমার শুটিং আমি শুরু করেছিলাম জুনে। আর আমরা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হই অক্টোবরে। আমাদের হানিমুন হয়েছিল সিনেমার শুটিং সেটে। গৌরির সমর্থন না থাকলে নিশ্চয়ই এমনটা করতে পারতেন না শাহরুখ!

বয়স ৩০ এর আগেই দরকার ৩০টি অভিজ্ঞতা

৩. একসঙ্গে পর্যাপ্ত গুণগত মানসম্পন্ন সময় কাটানো
পেশাগত জীবনে চরম ব্যস্ততা সত্ত্বেও এই যুগল পরস্পরে সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে গুণগত মানসম্পন্ন সময় কাটিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের মাটিতে মনোরম সব লোকেশনে ছুটি কাটানোর আদরনীয় সব ছবি থেকেই তাদের এই একসঙ্গে উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন সময় কাটানোর বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শাহরুখ এবং গৌরি খানের কাছে ওই মুহূর্তগুলোই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।

৪. সবার আগে পরিবার
তারা খুবই আদুরে বাবা-মা এবং নিজেদের সন্তানদের ব্যাপারে খুবই প্রতিরক্ষামূলক। একবার এক চ্যাট শো’তে পারিবারিক জীবন এবং গৌরির সঙ্গে তার সম্পর্কের প্রকৃতি সম্পর্কে শাহরুখ বলেন, ‘আমরা পরস্পরকে অনেকদিন ধরেই চিনি। আমরা একটা পর্যায় অতিক্রম করে এসেছি। আমরা যেসব পর্যায় অতিক্রম করে এসেছি সেসবের একটি হলো যে, রোমান্টিক হওয়ার জন্য আমাদেরকে কোনো পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলোর নিচে গিয়ে বসতে হয় না। আমাদের প্রতিটি মুহূর্তই রোমান্টিক। যখন আমরা বেড রুম থেকে বের হয়ে লিভিং রুমের দিকে যাওয়ার সময় পরস্পরকে অতিক্রম করি তাও হয় খুব রোমান্টিক। আমাদের চারপাশের বাতাসে সব সময়ই যেন ভালোবাসা ভেসে বেড়ায়। আমাদের রয়েছে বিস্ময়কর সব সন্তান। আর তারাই প্রমাণ যে আমাদের বাড়িতে প্রতিদিনই দিনব্যাপী বন্য, তীব্র এবং কোলাহোলপূর্ণ রোমান্স চলে। ‘

৫. পেশাদার জুটি
এই যুগল একত্রে একটি সাম্রাজ্যই গড়ে তুলেছেন বলা যায়! তারা নানা ব্র্যান্ডকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। আর নিজেদেরও একটি সফল উৎপাদন কম্পানি আছে। যার আয় তাদেরকে ভারতের সবচেয়ে ধনী যুগলের একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আর একেই বলে সত্যিকার পেশাদার যুগল! তাই নয় কি?