বিনোদন ডেস্ক : তিনি বলিউডের কিং খান। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি তার সেন্স অফ হিউমারও বেশ ঈর্ষণীয়। সামান্য কয়েকটি কথায় মানুষের মুখে হাসি আনা তাঁর কাছে যেন বাঁ হাতের খেলা। এমনকি নিজের বিয়ের দিনেও হাসির রোল তুলেছিলেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। ১৯৯১ সালে গৌরী খানের সঙ্গে চার হাত এক করেছিলেন শাহরুখ। সেই সময় থেকে কেরিয়ারের শুরু সুপার স্টারের। তবে খ্যাতি তখনও আসেনি।
শাহরুখের শ্বশুরবাড়ি অর্থাৎ গৌরীর আত্মীয়রাও তখন অভিনেতাকে তেমন ভাল ভাবে চিনতেন না। তাই শাহরুখকে নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল তাঁদের মনে। বেশ কয়েক বছর আগে অভিনেত্রী ফরিদা জালাল-এর সাক্ষাৎকারে বিয়ের স্মৃতি রোমন্থন করেছিলেন শাহরুখ। দুই ধর্মাবলম্বী মানুষের বিয়ে। তাই গৌরীর কয়েকজন আত্মীয়ের বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল বিয়ে নিয়ে। কিন্তু বিয়ের আসরে সেই আত্মীয়দেরই ট্রোল করেছিলেন শাহরুখ।
শাহরুখ বলছেন, “আমার মনে আছে গোটা পরিবার এসেছিল। পুরনো দিনের মানুষ। আমি তাঁদের সবাইকে এবাং তাঁদের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করি। সবাই বসেছিলেন চারপাশে। আমি ১.১৫ নাগাদ আসি। সবাই ফিসফিস করে বলতে থাকে ‘ছেলেটা মুসলমান। মেয়ের নাম হয়তো বদলে যাবে। মেয়েটাও কি মুসলিম হয়ে যাবে?’ ওরা সবাই পঞ্জাবিতে এসব বলাবলি করছিল।”
এর পরেই এক মজার কাণ্ড ঘটান শাহরুখ। তিনি বলছেন, “হঠাৎ আমি উঠি আর বলি, গৌরী চলো বোরখা পরবে। নমাজ পড়তে হবে। চলো সবাই ওঠো। ওর পুরো পরিবার হতভম্ভ হয়ে গেল আমায় দেখে।”
এখানেই শেষ নয়। এর পরেও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের সঙ্গে রসিকতা বন্ধ করেননি এসআরকে। শাহরুখ আবার বলেন, “আমি বললাম, দেখুন ও তো আজ থেকে বোরখা পরে থাকবে। ঘর থেকে বাইরেও বেরোবে না। ওর নাম বদলে আমি আয়েশা রাখব। ও এরকমই থাকবে।”
এসব শুনে আত্মীয়রা চমকে গেলেও পরে তাঁরা বোঝেন, শাহরুখ রসিকতা করছেন। অভিনেতার কথায়, “আমার খুব মজা হয়েছিল। কিন্তু এর থেকে শেখার বিষয় হল, ধর্মকে শ্রদ্ধা করো। কিন্তু ভালবাসার মধ্যে কখনও আসতে দিও না। খুব দারুণ বিয়ে হয়েছিল আর এখনও একই রকম শক্তিশালী রয়েছে। এখন সময়টা এমন ওর থেকেও আমায় বেশি ভালবাসে ওর পরিবার।”
৩০ বছরের সুখের সংসার শাহরুখ ও গৌরীর। তিন ছেলে মেয়ে আরিয়ান, সুহানা ও আব্রামকে নিয়ে ভাল আছেন বলিউডের কিং খান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।