বিনোদন ডেস্ক : ফোনে খুনের হুমকি। ওপারে খোদ মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ডের ত্রাস আবু সালেম। তাকেই নাকি যোগ্য জবাবে থামিয়ে দিয়েছিলেন শাহরুখ খান! পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার হত্যার পর সলমন খানকে প্রাণনাশের হুমকি। তা নিয়ে এখন দেদার শোরগোল মুম্বই জুড়ে। তবে এই প্রথম নয়। বলিউডের একাধিক নায়ক বিভিন্ন সময়েই পেয়েছেন খুনের হুমকি।
তাঁদের মধ্যে ছিলেন বলিউডের ‘বাদশা’ শাহরুখ খানও। কিন্তু জানেন কি, ভয় পাওয়া দূরে থাক, বলিউডের ‘ত্রাস’ সেই গ্যাংস্টারকে একেবারে মুখের উপর জবাব দিয়েছিলেন কিং খান! এমনই তথ্য উঠে এল শাহরুখকে নিয়ে অনুপমা চোপড়ার বই ‘কিং অব বলিউড: শাহরুখ খান অ্যান্ড দ্য সিডাক্টিভ ওয়ার্ল্ড অব ইন্ডিয়ান সিনেমা’-য়।
১৯৯৭ সালে জনবহুল রাস্তায় গুলশন কুমার গুলিতে নিহত হওয়ার পর থেকেই ভয়ে কাঁপছিল টিনসেল নগরী। শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছু তারকা নাকি আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিশানায়। শোনা যাচ্ছিল, শাহরুখ খানকে খুন করতে নাকি শার্প শ্যুটারকে ‘সুপারি’ দিয়েছেন কুখ্যাত গ্যাংস্টার আবু সালেম! কারণ? আবু-ঘনিষ্ঠ এক প্রযোজকের সঙ্গে নাকি কাজ করতে রাজি হননি অভিনেতা। ‘ডুপ্লিকেট’ ছবির কাজ চলছে তখন। মুম্বই পুলিশ তৎক্ষণাৎ ‘বাদশা’র জন্য দেহরক্ষী নিয়োগ করে। অভিনেতার গতিবিধির উপরে নজরদারির পাশাপাশি শ্যুটিংয়ে যাতায়াতের পথে গাড়ি বদল করে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়।
গোটা পরিস্থিতি খানিকটা নাড়িয়ে দিয়েছিল কিং খানকেও। সেই সময়ের এক বিয়েবাড়িতে এক অনুরাগীকে অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে আচমকা নাকি স্ত্রী গৌরীকে ঠেলে সরিয়ে দেন শাহরুখ। তাঁর আশঙ্কা হয়েছিল, পকেট থেকে পেন বলে যেটা বার করছেন সেই ব্যক্তি, তা বন্দুকও তো হতে পারে! পরে বইয়ের জন্য অনুপমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিং খান নিজেই বলেছিলেন, ‘‘নিজেকে নিয়ে নয়, ভয় পেয়েছিলাম আমার স্ত্রী-সন্তানদের জন্য। আমার কেমন একটা বিশ্বাস ছিল, আমায় কেউ গুলি করবে না!’’
কিন্তু ‘দিল তো পাগল হ্যায়’-এর সেট থেকে ফেরার পথে এক দিন এল আতঙ্কের সেই ফোন! ওপারে খোদ আবু সালেম। এবং তাঁর বন্ধুর সঙ্গে কাজ করতে নারাজ হওয়ার অপরাধে হিসহিসে গলায় খুনের হুমকি। না, ঘাবড়ে জাননি শাহরুখ। ঠান্ডা গলায় তাঁকে পাল্টা ধমক দিয়েছিলেন, ‘‘আপনি কাকে গুলি করবেন, আমি ঠিক করে দিই না। তেমনই আমি কোন ছবিটা করব, আপনিও ঠিক করে দেবেন না!’’
শাহরুখের এমন সাহস নাকি দমিয়ে দেয় তখনকার মুম্বইয়ের ত্রাস আবু সালেমকেও। শোনা যায়, তিনি নিজেই কিং খানকে আশ্বস্ত করেছিলেন, নিরাপত্তা ছাড়াই চলাফেরা করতে পারেন অভিনেতা। তার পরেও নাকি শাহরুখকে একাধিক বার নানা কারণে ফোন করেছিলেন গ্যাংস্টার। প্রতি বারই জানাতে ভোলেননি, ‘বাদশা’র নিরাপত্তারক্ষীরা ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছে।
শাহরুখকে অবশ্য ভয় পাওয়ানো যায়নি তার পরেও। বাস্তবে এমন আতঙ্কের পরিস্থিতিতেও শেষ করেছিলেন ‘ডুপ্লিকেট’-এর শ্যুটিং। নিজের বইয়ে অনুপমার দাবি, এর পরেও ছোটা রাজন এবং ছোটা শাকিলের নজরে পড়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু প্রতি বারই সাহস আর বুদ্ধির জোরে তার মোকাবিলা করে ঠিক বেরিয়ে এসেছেন বলিউডের ‘বাদশা’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।