বিনোদন ডেস্ক : আইপিএস সঞ্জয়কুমার সিং, যিনি শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান মাদক মামলার তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে তিনি পেলেন বিশেষ সম্মান। একনিষ্ঠ পরিষেবার জন্য পেলেন প্রেসিডেন্টস পুলিশ মেডেল।
১৯৯৬ সালের ওড়িশা আইপিএস (ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস) ক্যাডারের অফিসার সঞ্জয়কুমার সিং। ওড়িশা পুলিশ এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) এর বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল বা ডিডিজি হিসেবে নির্বাচিত হন।
কর্ডেলিয়া ক্রুজ থেকে শাহরুখ খানের ছেলেকে আটক ও পরে গ্রেফতার করেছিলেন সমীর ওয়াংখেরের নেতৃত্বাধীন টিম। পরে সেই মামলা আসে দিল্লিতে এনসিবি সদর দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল সঞ্জয়কুমার সিংয়ের হাতে, যখন খোদ সমীর ওয়াংখেড়ের নামেই ওঠে ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ। ২০২১ সালের নভেম্বরে তৈরি বিশেষ তদন্ত কমিটির মাথা ছিলেন এই সঞ্জয়। ২০২২ সালে এই কমিটিই মাদক মামলায় ক্লিনচিট দেয় আরিয়ানকে।
এনসিবিতে যোগদানের আগে সঞ্জয় অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজি) হিসেবে ওডিশা পুলিশের ড্রাগ টাস্ক ফোর্সের (ডিটিএফ) প্রধান ছিলেন। ডিটিএফ-এর সাথে তার মেয়াদকালে তিনি রাজ্যে মাদকবিরোধী অভিযানের একটি সিরিজ চালু করেছিলেন এবং ভুবনেশ্বরে বেশ কয়েকটি মাদক পাচারের র্যাকেটের পরদা ফাঁস করেছিলেন।
২০০৮ থেকে সঞ্জয় ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হিসেবে ২০১৫ সাল অবধি সিবিআইয়ের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। সিবিআইয়ে থাকাকালীনও তিনি বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল মামলা পরিচালনা করেছিলেন। প্রজাতন্ত্র দিবসে মোট ৯০১জন পুলিশকর্মী বিভিন্ন পদক পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মাদক মামলার রেশ কাটিয়ে আরিয়ান ফিরেছেন স্বভাবিক জীবনে। ২০২২-এর শুরু থেকেই বাবা শাহরুখের নাইটরাইডার্স আইপিএলের দলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। দেখা মিলেছিল কিছু হাই প্রোফাইল বলিউড পার্টিতেও। খুব জলদি পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করবেন। প্রোডাকশন হাউজ অবশ্য শাহরুখ-গৌরীর রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।