স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট বিশ্বে শাহিন আফ্রিদির পরিচিতি একজন দ্রুত গতির বোলার হিসেবে। সেই সঙ্গে দারুণ লাইন লেংনথ ও ঠিক জায়গায় বল ফেলার ক্ষেত্রে তার জুড়ি নেই। বাউন্স ও আগ্রাসনে ব্যাটারকে বিভ্রান্ত করা তার সহজাত।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলের গতি দারুণভাবে কমে গেছে। তাকে ‘ফাস্ট বোলার’ বলাই কঠিন।
তিনি বোলিং করছেন স্রেফ ১৩০ কিলোমিটারের আশেপাশে গতিতে। এ নিয়ে শাহিনের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। পাকিস্তানের সাবেক পেসাররা ছেড়ে কথা বলছেন না শাহিনকে।
চোট নাকি অবসাদ? নাকি অন্য কিছু! শাহিন শাহ আফ্রিদির বলের গতি কমে যাওয়া নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটে আলোচনা চলছে তুমুল। অনেকের ধারণা, চোট নিয়ে খেলছেন বলেই বাঁহাতি এই পেসার গতি তুলতে পারছেন না প্রত্যাশার ধারেকাছে।
তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির বিশ্বাস, কোনো চোট-টোট নেই শাহিনের। গতি কমে যাওয়ার কারণ নিয়ে অবশ্য কিছু বলেননি তিনিও।
শাহিন একসময় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল ছুড়তেন। এখন তিনি ১৩৫ স্পর্শ করতেই হিমশিম খাচ্ছেন। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও এই দশা দেখা গেছে। চলতি অস্ট্রেলিয়া সফরে তো অনেক সময়ই তার গতি থাকছে ১৩০ কিলোমিটারের নিচে।
মূলত হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই শাহিদের গতি আর আগের জায়গায় ফেরেনি।
তবে সেই অস্ত্রোপচারের পর পেরিয়ে গেছে অনেক দিন। এই সফরেও তিনি কোনো চোট-অস্বস্তি সঙ্গী করে খেলছেন কি না, এমন প্রশ্ন উঠছে।
নিজের ফাউন্ডেশনের কাজে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন শ্বশুর শাহিদ আফ্রিদি। কথা বললেন মেয়ের জামাই শাহিন আফ্রিদির গতি কমে যাওয়ার প্রসঙ্গে।
‘আমার তো কখনোই মনে হয়নি শাহিন চোট নিয়ে খেলছে। ফাস্ট বোলার হয়ে চোট নিয়ে খেলা যায় না। নিজের দায়িত্ব সে খুব ভালো করেই জানে এবং বোঝে যে, দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’
‘এই ফাস্ট বোলারদের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা, কারণ অতীতে তারা ভালো করেছে। বাবর, রিজওয়ান, শাহিন, সবাই আগে এত ভালো করেছে যে, প্রতি ম্যাচেই তাদের কাছে ভালো কিছুর প্রত্যাশা থাকে। অবশ্য অবিরাম ধারাবাহিক থাকা ক্রিকেটে খুবই চ্যালেঞ্জিং।’
পাকিস্তানের দুই গতিদানব নাসিম শাহ ও হারিস রউফ দলের বাইরে। চোটের কারণে নাসিম আর বিশ্রামের জন্য নিজ থেকে দলে নেই হারিস রউফ।
তাদের জন্য আফসোস না করে শাহিদ আফ্রিদি পরামর্শ দিলেন দেশের ক্রিকেটের শক্তির গভীরতা বাড়ানো নিয়ে কাজ করতে।
‘আমি সবসময়ই বলেছি, শক্তির গভীরতা বেশি না থাকলে কখনোই সেরা সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। ‘এ’ দলকেও অনেকটা মূল দলের মতো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। যদি শাহিন বা বাবর কিংবা রিজওয়ানের মতো ক্রিকেটাররা যদি ভালো না করে, তখন যেন বিকল্প খুঁজতে গিয়ে আমাদের কোনো অজুহাত না দিতে হয় যে অমুক নেই, তমুক নেই… এখন নাসিমকে না পেয়ে যেরকম হচ্ছে। শক্তির গভীরতা থাকলে কোনো অজুহাতও থাকবে না।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।