বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে প্রেমের ক্ষেত্রে নাম রয়েছে অভিনেতা শাহিদ কাপুরের। কারিনা কাপুর থেকে বিদ্যা বালান অনেকের নাম জড়িয়েছে তার সঙ্গে। তবে বলিউডের বাইরেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। টেনিসসুন্দরী সানিয়া মির্জাও ছিলেন সেই তালিকায়। তবে ছয় মাসের মধ্যে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়।
বেশি দিন স্থায়ী না হলেও সম্পর্কের অভিঘাত ছিল গভীর। দু’জনের প্রথম দেখা হয়েছিল কমন বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে। প্রথম আলাপেই বুঝে যান, একে অন্যের সঙ্গ তারা উপভোগ করছেন। আলাপ ঘনিষ্ঠ হতে সময় লাগেনি। শাহিদ-সানিয়া নিজেদের সম্পর্ক লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেননি। মাঝে মাঝেই একে অন্যের হাত ধরে থাকা অবস্থায় তাদের দেখা যেত প্রকাশ্যে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
২০০৯ সাল থেকে শাহিদ-সানিয়ার প্রেমের সূত্রপাত। ‘কামিনে’ ছবির সেটে প্রায়ই যেতেন হায়দরাবাদি সুন্দরী। একবার বেঙ্গালুরুর শেরাটন গ্র্যান্ড হোটেলে নিভৃতে সময় কাটাতে যান তারা। কিন্তু তা জানাজানি হয়ে যায়। সেই হোটেলের এক রুমবয় তাদের একান্ত সময় যাপনের কথা বাইরে ফাঁস করে দেন। তার পর থেকেই দেশের অন্যতম পাওয়ার কাপল হিসেবে ধরা হচ্ছিল শাহিদ-সানিয়াকে।
ঘনিষ্ঠতা এতই বেড়ে যায় যে, নিজের কাজ অনুমোদন করানোর জন্যও শাহিদ নির্ভর করতে শুরু করেন সানিয়ার ওপর। সানিয়ার সবুজ সঙ্কেত পেলে তবেই সেই কাজে রাজি হতেন শাহিদ।
শাহিদ-সানিয়ার সম্পর্ক স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ৬ মাস। কিন্তু কেন ভেঙে গেল এই সম্পর্ক? দু’জনের কেউই এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে গুঞ্জন, সম্পর্ক ভেঙে চলে গিয়েছিলেন সানিয়া-ই। তিনি নাকি একই সময়ে শাহিদের পাশাপাশি এক তেলুগু তারকার সঙ্গেও সম্পর্ক রেখেছিলেন। এই সম্পর্ক নিয়ে নাকি খুশি ছিলেন না সানিয়া। অন্তত তার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি সে রকমই। তার অভিযোগ ছিল, শাহিদ তাকে ব্যবহার করছেন। নিজেকে শাহিদের ‘ট্রফি গার্লফ্রেন্ড’ বলে মনে হতো সানিয়ার।
যদিও শাহিদের অতিরিক্ত অধিকারবোধ ভালো লাগত না সানিয়ার। ঘনিষ্ঠ মহলে অভিযোগ করেছিলেন, তাদের সম্পর্কে শাহিদ তাকে কোনো স্পেস দেন না। শাহিদের সঙ্গে প্রেম ভেঙে বেরিয়ে আসার পরের বছরই সানিয়া বিয়ে করেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে।
শাহিদ অবশ্য এত তাড়াতাড়ি সাতপাকে বাঁধা পড়েননি। সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। ২০১৫ সালে তিনি বিয়ে করেন দিল্লির তরুণী মীরা রাজপুতকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।