বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের দুই মহারথী তারা। একজন রোমান্সের বাদশাহ তো অপরজন অ্যাকশন খিলাড়ি। তবে দীর্ঘ তিন দশক একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করলেও একসঙ্গে মাত্র দুইবার এক ফ্রেমে দেখা গেছে তাদের। ১৯৯৭ সালে ‘দিল তো পাগল হ্যায়’তে একসঙ্গে কাজ করেছেন দুজন।
যদিও সেটিতে অক্ষয় কুমারের ক্যামিও উপস্থিতি ছিল। এরপর ২০০৭ সালে ‘হেই বেবি’তে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে আবার। যদিও একটি গানে অল্প কিছুক্ষণের ক্যামিও দিয়েছেন শাহরুখ। ব্যস, এ ছাড়া আর কোনো চলচ্চিত্রে এ দুই তারকাকে দেখা যায়নি।
কিন্তু কেন? দুই তারকা কেন একসঙ্গে আর কাজ করেননি? যদিও বলিউডের বাতাসে বিভিন্ন রকমের গল্প ছড়িয়ে রয়েছে যে খান ও কুমারের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। একে অন্যের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নন কেউই। তবে মূল কারণটা আসলে তা নয়। এ দুই অভিনেতার মাঝে দ্বন্দ্ব নেই, এমনকি দুজনের মাঝে বেশ ভালো বন্ধুত্বও রয়েছে।
তাহলে একসঙ্গে কাজ করা থেকে কেন বিরত থাকেন দুজন?
এর কারণটা জানিয়েছেন স্বয়ং শাহরুখ। শাহরুখ খানের মতে, অক্ষয়ের জীবনযাত্রাই দুই তারকার এক ফ্রেমে না আসার কারণ! অক্ষয় মাত্রাতিরিক্ত অনুশাসনে পরিপূর্ণ। বিপরীতে শাহরুখ রুটিনহীন এক মানুষ। কিং খান মনে করেন, তিনি এবং অক্ষয় এক্কেবারে বিপরীত মেরুর মানুষ। কোনো কিছুই মেলে না তাদের।
ঠিক যেন ‘তোমার হলো শুরু আমার হলো সারা’র মতো অবস্থা! ফলে তাদের একসঙ্গে পথচলা সম্ভব নয় কোনোমতেই।
একটি শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া পোর্টাল একবার শাহরুখ খানকে প্রশ্ন করেছিল, কেন তিনি এবং অক্ষয় একসঙ্গে আর চলচ্চিত্র করেননি? অভিনেতা উত্তর দিয়েছিলেন, তারা কখনোই তাদের সময়সূচির কারণে একসাথে কাজ করবেন না। কারণ অক্ষয় তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠে, যা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
শাহরুখ ঠাট্টার ছলে বলেছিলেন, ‘অক্ষয় জেগে উঠলে আমি ঘুমাতে যাই। তার দিন খুব তাড়াতাড়ি শুরু হয়। যখন আমি শুরু করি তখন অক্ষয়ের প্যাকআপ হয়ে যায়।’ নিজেকে নিশাচর দাবি করে কিং খান বলেছিলেন, তিনি একজন নিশাচর ব্যক্তি এবং অনেকেই তার মতো রাতে শুটিং করতে পছন্দ করেন না। অক্ষয়ও তাদের মধ্যে একজন।
শাহরুখ খানকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘জওয়ান’ চলচ্চিত্রে। সামনে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর ‘ডানকি।’ অন্যদিকে অক্ষয় কুমারকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘মিশন রানিগঞ্জ’-এ। এরপর ‘বাড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’, ‘হেরা ফেরি ৩’, ‘ওয়েলকাম ৫’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্র আসতে চলেছে অভিনেতার।
সূত্র : টেলিচাক্কার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।