বিনোদন ডেস্ক : পর্দার বাইরে বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে শাহরুখের ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধিদীপ্ত সব মন্তব্য। সাক্ষাৎকার হোক কিংবা অনুষ্ঠানের মঞ্চ – প্রতিকূল প্রশ্নেও শাহরুখের বাকপটুতায় মুগ্ধ হননি এমন শ্রোতা-দর্শক বিরল। সম্প্রতি সেটাই আরও একবার প্রমাণ করলেন ‘কিং খান’। এবারে তাঁর উল্টোদিকে ছিলেন হেমা মালিনী।
আইফা অনুষ্ঠানের মঞ্চে জীবনকৃতি সম্মান পেলেন হেমা মালিনী। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর হাতে এই সম্মান তুলে দেন খোদ শাহরুখ। বহু বছর ধরেই তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। অনেকেই জানেন না, বলিপাড়ায় শাহরুখের পথ চলার পিছনে হাত ছিল হেমা মালিনীর। কেরিয়ারের একেবারে প্রথমে ১৯৯২ সাল নাগাদ হেমার প্রযোজনায় তৈরি ‘দিল আশনা হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ‘বাদশা’। যদিও হেমা বরাবরই বলেছেন, শাহরুখ নিজের প্রতিভার জোরে এই জায়গায় পৌঁছেছেন।
সম্মান হাতে তুলে নেওয়ার পর নিজের বক্তৃতায় সেই প্রসঙ্গ তোলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী। জানান , তাঁর সংসদীয় এলাকা অর্থাৎ মথুরার যুবকেরা নাকি দাবি করেন, হেমা চাইলেই তাঁদের সকলকে শাহরুখ খানের মতো ‘সুপারস্টার’ বানিয়ে দিতে পারেন। এরপর হেমাকে বলতে শোনাতে গেল, ” আমি বলি, এটা সম্ভব নয়। শাহরুখ অসম্ভব প্রতিভাবান, আমি শুধু ওঁকে একটা সুযোগ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু, নিজের অধ্যবসায় আর পরিশ্রমে ভর করে এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন তিনি। আমার হাতে কোনও জাদু নেই যে, সকলকে তারকা বানিয়ে দেব।” শুনে তখন পাশে দাঁড়ানো শাহরুখের মুখে মিটিমিটি হাসি। এরপরেই শাহরুখের উদ্দেশ্যে হেমা বলে ওঠেন, “তুমি আমাকে কথা দাও যে তুমি মথুরায় আসবে এবং তোমার এ ব্যাপারে যা বক্তব্য তা তুমি নিজের মুখেই ওঁদের বলবে”।
আর শাহরুখ তো শাহরুখ! ভরা অনুষ্ঠানে কাউকে বিন্দুমাত্র অস্বস্তিতে ফেলে, না চটিয়ে তাঁর মুখের উপর ‘না’ বলতে পারাটাও যে শিল্প তা করে দেখিয়ে দিলেন তিনি। হেমার অনুরোধে ‘কিং খান’-এর জবাড ভেসে এল, “হেমাজি, ওঁরা আপনার আশীর্বাদেই এক একজন তারকা হয়ে উঠবেন। আমার সেখানে কোনও প্রয়োজন নেই।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।