বিনোদন ডেস্ক : বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের আজ বিশেষ দিন। কারণ ২ নভেম্বর তার জন্মদিন। প্রতিদিন তার জন্মদিন ঘিরে নানান আয়জন থাকে। ভক্তরাও এই দিনে প্রিয় অভিনেতাকে সম্মান জানান। কেউ শাহরুখ খানের মুম্বাইয়ের বাড়ি মান্নাতে প্রিয় তারকাকে দেখতে হাজির হন। আর কেউবা শাহরুখের কোনো সিনেমা দেখেন। শাহরুখ খান তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। শাহরুখ খান বয়স বেড়েছে কিন্তু তার কিছু চরিত্র চির তরুণ। বক্স অফিসে সাড়া জাগানো কিছু সিনেমা আজও দেখেন শাহরুখ ভক্তরা।
শাহরুখের জন্মদিনে অনেক ভক্ত ফিরে যান রাজের কাছে। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমায় শাহরুখের অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল রাজ। শাহরুখ খানের বয়স ৫৯ বছর হলেও প্রায় ৩০ বছর আগের সেই রাজের কিন্তু আজও বয়স বাড়েনি। বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয় সিনেমা রিমেক বা নতুন করে নির্মাণ করা হয়। তবে শাহরুখ ভক্তরা কখনোই চান না ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমাটি নতুন করে নির্মাণ করা হোক।
বলিউড হাঙ্গামা বলছে, বলিউড বক্স অফিস কাঁপানো সিনেমার একটি দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে। এই সিনেমাটি ১৯৯৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল। রোমান্টিক ঘরানার এই সিনেমাটিকে কেবল একটি প্রেমের গল্প মানতে নারাজ শাহরুখ ভক্তরা। তারা মনে করেন শাহরুখ অভিনীত রাজ চরিত্রটির মধ্যে জাদু আছে। রাজ কখনো অনেক তরুণের প্রতিনিধিত্ব করে, আবার সেটা অনেক সময় একটা ভালো বন্ধুর মতো কাজ করে। কখনো আবার তরুণীরা রাজের মতই একজনকে খুঁজে বেড়ান। আর এ কারণেই শাহরুখ ভক্তরা চান না সিনেমাটি রিমেক করা হোক। তারা চান রাজ হিসেবে সেই ১৯৯৫ সালের শাহরুখ তাদের সঙ্গ দিক।
শাহরুখ খান ২০০৫ সালে এনডিটিভিকে দেয়া এক অকপট বলেছিলেন, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ নির্মাণের সময়টা ছিল আমার জীবনের অন্যতম সেরা সময়। তখন সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি সদস্য একজন অন্যজনের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। আমরা সবাই সবার বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। কিছু বন্ধুত্ব আজো থেকে গিয়েছে। শাহরুখ আরও বলেন, কেবল ভালো অভিনয়ের জন্য সিনেমাটি সাফল্য পায়নি। বরং আমাদের ভেতরের আন্তরিকতা এবং বন্ধুত্ব সিনেমাটিকে সফল করেছে। বলা যায় হাসতে হাসতে আনন্দ নিয়ে সিনেমাটা আমরা করেছিলাম।
ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক মোহর বসু সম্প্রতি তার লেখা একটি প্রকাশ করেছেন। বইটির নাম শাহরুখ খান। যেখানে তিনি রেশম ভাদুরি নামের একজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। রেশম ভাদুরি একজন যোগাযোগ কর্মকর্তা যিনি বর্তমানে মার্কিন মুলুকে আছেন। তিনি শাহরুখ খানের অগণিত ভক্তের একজন যিনি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমাটি হৃদয়ে ধারণ করেন। তিনি মনে করেন রাজ এবং সিমরানের চরিত্রগুলি রোম্যান্সের একটি আদর্শ সংস্করণ উপস্থাপন করে। এখন সম্পর্কের জটিলতায় সরল সম্পর্ক হারিয়ে যাচ্ছে। এই সময় রাজের আদর্শ সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হতে পারে।
এমনকি, বর্তমান সময়ে আমরা যখন হাঁপিয়ে যাই তখন অনেকে স্বস্তি দেয় রাজের চরিত্রটি। সিনেমাটি আমাদের বর্তমান সময়ের জটিলতার বাইরে সহজ-সরল সুন্দর সময়ে নিয়ে যায়। এমনকি সিনেমাটি সেই সময়ের পুরো প্রজন্মের রোমান্টিক আদর্শকে রূপ দিয়েছে।
ভাদুরির মতে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমাটির জাদু সাংস্কৃতিক প্রভাব ফেলেছে। এই সিনেমাটি শাহরুখকে বলিউডের সেরা রোমান্টিক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এছাড়া সিনেমাটির আইকনিক ট্রেনের দৃশ্য, সংলাপ এবং সঙ্গীত ভারতীয় পপ সংস্কৃতিও অবদান রেখেছে। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমাটি প্রায় ৩০ বছর আগে নির্মাণ হলেও আজও সিনেমাটি আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আর এ কারণেই রাজ চির তরুণ। শাহরুখ খানের বয়স বাড়ে কিন্তু রাজ আর সিমরান ঠিক আগের মতই রয়েছে শাহরুখ ভক্তদের হৃদয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।