জুমবাংলা ডেস্ক : মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে যাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাদারীপুর-২ আসন থেকে অষ্টমবারের মতো নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও নীতিনির্ধারক।
শাজাহান খান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান ১৯৭১ সালে প্রথমে মুক্তিবাহিনী পরে মুজিব বাহিনীর সদস্য ছিলেন। তিনি ভারতের দেরাদুনে মিলিটারি ট্রেনিংয়ে অংশ নেন।
১৯৬৬-৬৭ এবং ১৯৬৭-৬৮ সালে মাদারীপুর উপবিভাগের ছাত্রলীগের নির্বাচিত সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি নাজিমউদ্দিন কলেজের সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
শাজাহান খান ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৯ সালের ৩১ জুলাই নৌপরিবহন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শাজাহান খান। এরপর ২০১৩ সালের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভায় তাকে নৌপরিবহন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে তিনি শুধুমাত্র নৌপরিবহন মন্ত্রীর কার্যভার গ্রহণ করেন।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন শাজাহান খান। তার পিতা অ্যাডভোকেট মৌলভী আচমত আলী খান ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী এবং জাতীয় সংসদের সদস্য।
শাজাহান খান ১৯৫৭ সালে মাদারীপুরের নুতন শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৬ সালে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৮ সালে মাদারীপুর নাজিমউদ্দিন কলেজ (বর্তমানে মাদারীপুর সরকারি কলেজ) থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।