বিনোদন ডেস্ক : শুধু ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে মুকেশ আম্বানির পরিবার। এশিয়ার বিখ্যাত এই শিল্পপতির বাবা ধীরুভাই আম্বানির নামে মুম্বাইয়ে রয়েছে একটি বেশ নামি স্কুল। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের পড়াশোনা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। তবে সবাই এখানে পড়াশোনার সুযোগ পায় না।
বড় বড় শিল্পপতি, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বলিউড তারকাদের সন্তানরাই কেবল ধীরুভাই আম্বানির স্কুলে পা রাখার সুযোগ পায়। এখন এই স্কুলের দেখভাল করছেন মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি। ২০০৩ সালে নীতা আম্বানি ও মুকেশ-নীতার কন্যা ইশা আম্বানির উদ্যোগে এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা হয় মুম্বাইয়ের পূর্ব বান্দ্রাতে।
এই স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকে বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা। সেই সঙ্গে এখানকার পড়াশোনার মান খুবই উন্নত। তাই গোটা বিশ্বের নিরিখে অন্যতম সেরা স্কুলের মর্যাদা পেয়েছে ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এখানে স্কুল ক্যাম্পাসে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত অডিটরিয়াম থেকে শুরু করে নৃত্য কক্ষ, যোগা রুম, পরীক্ষাগার, খেলার মাঠ, এসি যুক্ত ক্লাসরুম রয়েছে।
এখানে পঠন-পাঠনরত প্রতি সাতজন শিক্ষার্থীর পেছনে একজন করে শিক্ষক নিযুক্ত করা হয়। এই স্কুলে শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, সাইফ আলী খানদের মতো বড় বড় বলিউড তারকাদের সন্তানরা পড়াশোনা করেছেন। এখানে পড়াশোনা করার জন্য বার্ষিক ফি এত বেশি যে কোন সাধারণ ঘরের সন্তানরা সুযোগই পাবেন না।
ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত বছরে দেড় লাখ টাকা খরচ পড়ে। অষ্টম থেকে দশম শ্রেণ পর্যন্ত এই টাকার অঙ্কটা এক লাফে বেড়ে ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা হয়ে যায়। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য বছরে ১০ লাখ টাকা করে ফি দিতে হয়। নীতা আম্বানি নিজে এই স্কুলের তদারকি করেন।
আসলে মুকেশ আম্বানিকে বিয়ের আগে নীতা ছিলেন এক সাধারণ স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুবই পছন্দ করেন। বিয়ের পরেও তিনি স্কুলের চাকরিটি ছাড়তে চাননি। ধীরুভাই আম্বানির সম্মানে বানানো এই স্কুলের দায়িত্ব তাই নীতার কাঁধে তুলে দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।