স্পোর্টস ডেস্ক : ভুলে যাওয়ার মতো একটা বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপজুড়ে ব্যাট-বলে ছন্দে ছিলেন না বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। বাংলাদেশও সুপার এইট থেকে বিদায় নিয়েছে শূন্য হাতে। অথচ সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
এমন বাজে পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সে সমালোচকদের একজন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার পার্থিব প্যাটেল। তিনি অবশ্য ক্ষোভ ছেড়েছেন সাকিব আল হাসানের ওপর। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের সমালোচনায় প্যাটেল বলেছেন, সাকিব শুধু অন্যের ঘাড়ে দোষ দেয়।
এবারের বিশ্বকাপে ৭ ইনিংস ব্যাটিং করে ১৮.৫০ গড়ে ১১১ রান করেছেন সাকিব। স্ট্রাইকরেট মোটে ১০৬। অন্যদিকে ৬ ম্যাচে বোলিং করে নিয়েছেন মাত্র ৩ উইকেট। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের একজন সাকিব। এমন পারফরম্যান্সের পর সাকিবের যে সমালোচনা হবে, এটা অনুমিতই ছিল।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিবের আউটের ধরণ দেখে আরেক ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার সাকিবের সমালোচনায় বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া উচিত বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের। আফগানিস্তান ম্যাচের পর এবার সাকিবের সমালোচনায় প্যাটেল বলেছেন- সাকিব সবসময় অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়।
গতকাল মঙ্গলবার ক্রিকবাজের আলোচনায় যুক্ত হয়ে প্যাটেল বলেছেন, ‘ম্যাচ হারের দায় আপনি কার ওপর দেবেন? সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা ছিল সাকিবের ওপর, সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব ছিল সাকিবের ওপর। যেন ও ম্যাচ জেতায় বাংলাদেশকে। কিন্তু বড় ম্যাচ এলেই সাকিব ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে নেমে যায়, বোলিং করে না। ব্যাটিংয়ে এলেও দু-একটা ছক্কা মেরে আউট হয়ে যায়।’
এখানেই থেমে থাকেননি প্যাটেল। এরপর যোগ করেন, ‘এরপর কোথাও না কোথাও, কারো না কারো ওপর তো দোষ চাপাতে হবে। সাকিবের এই অভ্যাস আগে থেকেই আছে। তাই সাকিব যে এমনটা বলেছে তাতে আমি মোটেই অবাক হইনি।’
এর আগে ভারতের বিপক্ষে সুপার এইটের ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ নির্বাচন ও টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টির কথা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন সাকিব। দলের কোচ ও অধিনায়কের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে সাকিবের এমন মন্তব্য যে প্যাটেল ভালোভাবে নেননি, সেটা উঠে এসেছে ক্রিকবাজের আলোচনাতেই।
প্যাটেল আরও বলেছেন, ‘সাকিব নিজে থেকে অধিনায়কত্ব ছেড়েছে মানে বর্তমান অধিনায়ক ও কোচ এটাই ধরে নেবেন, সাকিব কোনো দায়িত্ব নিতে চায় না। ও হয়তো নীতিনির্ধারণী বিষয়ে আলোচনা করতে চায় না। তাহলে ওকে ওর মত ছেড়ে দেই। নিজের খেলাটা খেলুক, আর ম্যাচ জেতানোর চেষ্টা করুক। কোচ-অধিনায়ক নিজেদের চিন্তা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। তারপরও জনসম্মুখে এসে এসব কেনো বলেছে, এটা আমি বুঝলামই না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।