বিনোদন ডেস্ক : উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৬ নভেম্বর) রিমান্ড শুনানির সময় এক ভিন্ন শমী কায়সারের দেখা মিলে। হিজাব পরে আদালতে হাজির হয়ে ছিলেন তিনি। এর সঙ্গে ছিল মুখে মাস্ক। নিজেকে আড়ালে রেখেই বুধবার (৬ নভেম্বর) রিমান্ড শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়ান অভিনেত্রী। নিজেকে আদালতের কাছে নির্দোষ দাবি করেন এই শমী।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি নিক্ষেপের কথা যে গ্রুপে (আলো আসবেই) বলা হয়েছিল, সেই গ্রুপে আমি ছিলাম না।আন্দোলনে যে ধ্বংসযোগ্য চলছিল, সেসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছি, কাউকে অভিযোগ করে বক্তব্য দেইনি আমি। আর ওই সময় শেখ হাসিনা সরকারকে কোনো ধরনের সহায়তা করিনি। যখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবার সেটা চালুর কথা বলেছি। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা তাকে। গ্রেপ্তারের সময় থেকে আদালত সব সময় নিজেকে আড়ালে রাখছিলেন অভিনেত্রী। একসময় পর্দা কাঁপানো এই অভিনেত্রী আদালতে হিজাব পরে মলিন ভাবেই ছিলেন। লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের দুনিয়ায় ব্যস্ত থাকা অভিনেত্রী গ্রেপ্তারের তাকে ক্যামেরা ঘিরে থাকলেও সে দিকে তাকাননি তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে উত্তরায় ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে আদালতে হাজির করেন উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় পন্ডিত মিঠুন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে শমী কায়সার সরাসরি জড়িত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বানচাল করতে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করেছিলেন। টাকার উৎস খুঁজে বের করতে তাকে রিমান্ডে নেয়া দরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।