জুমবাংলা ডেস্ক : ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, দল ক্ষমতায় আর আপনি এলাকায় দাপট দেখাবেন, মানুষের কষ্টের টাকায় বাড়ি করবে আর রড সিমেন্ট আপনার কাছ থেকে নিতে হবে- এসব ভুলে যান। অনেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসে আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেন। সেই ছবি নিজ অফিসে টাঙিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম করেন, অত্যাচার করেন, ভূমিদস্যুতা করেন কিংবা মাদক ব্যবসার নেতৃত্ব দেন। আমি প্রতিটি এলাকায় স্পাই (গোয়েন্দা) লাগিয়েছি। সুযোগ দিলাম নিজেদের সংশোধন করেন, আর তা না করলে প্রত্যাহার করে জনসম্মুখে বেইজ্জত করা হবে।
রোববার দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন পাগলার কুতুবপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া ও অসহায়দের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দেড় হাজার মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী উপহার তুলে দেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, আমি আল্লাহর কাছে শপথ করেছি- আমার উদ্দেশ্য এখন শান্তি কায়েম করা। আমি আমার নির্বাচনি এলাকায় খবর নিয়েছি, এখানে প্রচুর রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ হয়েছে। মানুষ এখন আর উন্নয়ন চায় না। তারা চান শান্তিতে বসবাস করতে। এ অঞ্চল শিল্পাঞ্চল হওয়ায় সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন এখানে এসে বাড়িঘর করছেন।
তিনি আরও বলেন, কেউ পাঁচ শতাংশ জায়গা কিনে বাড়িঘর করতে গেলে অনেকেই গিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভূমিদস্যুতার চেষ্টা করেন। অনেকে বলেন- আমার থেকে রড-সিমেন্ট নিতে হবে। মানুষের ওপর জুলুম করা যাবে না। আমি স্পাই (গুপ্তচর) লাগিয়েছি। আমার কাছে সব খবর আছে। যারা দলীয় পরিচয়ে এসব করে বেড়ান, তাদের সুযোগ দিলাম। নিজেকে সংশোধন করুন, না হলে এই এলাকার মুরব্বিদের সঙ্গে নিয়ে আপনাদের বিতাড়িত করা হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, একজন আছেন যিনি জেলা বিএনপির সভাপতি হয়েছেন। তিনি একবার করেন আওয়ামী লীগ, একবার করেন বিএনপি, আরেকবার করেন জাতীয় পার্টি। মোট পাঁচবার তিনি দল পরিবর্তন করেছেন। রাজনৈতিকভাবে একটি কথা আছে ‘পলিটিক্যাল প্রস্টিটিউট।’ আসলে এরা হলো ঠিক তাই। তারা রাজনীতি করেন নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে। যারা দলীয় পরিচয়ে অপকর্ম করতে চান তারা এসব নেতাদের সঙ্গে যোগ দেন। আমার আপত্তি নাই। তবে আমার এলাকায় এসব অপকর্ম করলে আমি প্রতিহত করব।
তিনি স্থানীয় মুরব্বিদের উদ্দেশে বলেন, একদিন সবাই চলে যাব। তাই আমি বা আমরা আমার এলাকার পরিবেশের উন্নয়নে কী করলাম তা নিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাব দিতে হবে। আমি আগামী মাস থেকে মাঠে নামব। আপনারা আমার পেছনে থেকে সাপোর্ট দেবেন। সমাজ থেকে মাদক-সন্ত্রাস, ভূমিদস্যুতা ও ইভটিজিং রোধে যা যা করণীয় সব উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন মীরুর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা চন্দন শীল।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলালসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।