জুমবাংলা ডেস্ক: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জামিন দেওয়া বিচারককে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট।
এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করে সাতদিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বুধবার (১৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সম্রাটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সামাজী এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পরে আদলত থেকে বের হয়ে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ২০২১ সাল বা তার আগের মেডিকেল রিপোর্ট দেখে সম্রাটকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানান আদালত। আপডেট (সাম্প্রতিক) রিপোর্ট না দেখে বা রিপোর্ট কল না করে তাকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিচারকের ভুল। বিচারককে বিষয়টি জামিন দেওয়ার আগে চিন্তা করা উচিত ছিল। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত না দিতে ওই বিচারককে সতর্ক করেছেন উচ্চ আদালত।
সোমবার (১৬ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে সম্রাটের জামিন বাতিলের আবেদন করে দুদক।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছি।
এর আগে, সব মামলায় জামিন পাওয়ায় গত ১১ মে মুক্তি পান সম্রাট। দুদকের মামলায় তার তিন শর্তে ও ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
শর্তগুলো হলো- আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না সম্রাট, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আগামী ধার্য তারিখে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। একই বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত ২২ মার্চ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।