জুমবাংলা ডেস্ক: পুঁজিবাজারে শিগগিরই নতুন বিনিয়োগ আসবে বলে বাজার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজারকে আরও সমৃদ্ধ দেখতে চান, এমন কথাই সংশ্লিষ্টরা বলছেন। সে কারণে আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করতে নতুন কিছু সুযোগ রাখা হতে পারে।
অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ সহজ শর্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হতে পারে আগামী বাজেটে। পাশাপাশি কালো টাকা সহজেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে সাদা করার সুযোগও রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন।
দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুবিধা অব্যাহত রাখতে নিদিষ্ট হারে কর প্রদান সাপেক্ষে বিনিয়োগের অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন না তোলার বিধানটি বলবৎ রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল। এর সঙ্গে কর রেয়াতের জন্যও প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর এই মুহুর্তে কালো টাকা বিনিয়োগের সুবিধার পাশাপাশি কর রেয়াত সুবিধা জরুরি বলে মনে করছে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম ফারুক বলেন, ‘আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের জন্য আমাদের স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিকট প্রস্তাবনা দিয়েছি। কালো টাকা বিনিয়োগের সুবিধা, এসএমই কোম্পানির জন্য কর রেয়াত, করপোরেট করহার কমানোসহ যেসব সুবিধা দিলে বাজার আরও গতিশীল থাকবে, সিএসইর পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।’
গোলাম ফারুক বলেন, ‘সামনে বাজেট, আশা করি কর রেয়াতসহ নানা প্রস্তাব বাজেটে বাস্তবায়ন হবে। বাজেটের পর পুঁজিবাজারও অনেকখানি উত্থান হবে।’
আসন্ন প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সহজ শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুবিধা বহাল রাখা, দ্বৈত করহার প্রত্যাহার করা এবং তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করপোরেট করহারের ব্যবধান বাড়ানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আসন্ন বাজেটে বিনা শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। করোনা মহামারিতে অপ্রদর্শিত অর্থ প্রবেশের সুযোগ দিলে শেয়ারবাজার আরও গতিশীল হবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট করহার কমানোসহ দ্বৈত কর প্রত্যাহার করা হউক।’
তিনি বলেন, ‘বাজেটের পর আশা করি দেশের পুঁজিবাজার আরও ভালো হবে। বাজেটের পরই পুঁজিবাজারে নতুন বড় বড় বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই আমাদের সেই সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে।’
এদিকে, এমন সব পদক্ষেপের ফলে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এদিন সূচকের পাশাপাশি বাড়ে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমাণে লেনদেন।
এদিন ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৯৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৩৪৬ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৭৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বাড়ে ৩৪২টির, দর কমে ২৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১০টির।
ডিএসইতে রবিবার লেনদেন হয় ৮৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৯৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকা।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৩৬৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৬৪৭ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বাড়ে ২৩০টির, কমে ৩৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির দর। সিএসইতে ২১ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
সূত্র: ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।