স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ার হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এরপর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও দারুণ আম্পায়ারিং করে প্রশংসা পান তিনি। সময়ের অন্যতম সেরা এই আম্পায়ার এবার পেলেন যোগ্যতার মূল্য। এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এই বাংলাদেশি আম্পায়ার।
প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বার্ষিক পর্যালোচনা ও বাছাই প্রক্রিয়ার পর তাকে অন্তর্ভূক্ত করেছে।
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার – ক্রিকেট ওয়াসিম খান (চেয়ারম্যান), সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, নিউজিল্যান্ডের সাবেক আম্পায়ার টনি হিল এবং কনসালট্যান্ট অফিসিয়েটিং এক্সপার্ট মাইক রিলেকে নিয়ে গঠিত সিলেকশন প্যানেল যাচাই বাছাইয়ের পর এমিরেটস আইসিসি ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল থেকে শরফুদ্দৌলাকে এলিট প্যানেলের অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করেন।
২০০৬ সাল থেকে শরফুদ্দৌলা ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০১০ সালে মিরপুরে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার একটি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হয় তার।
ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে তিনি এখন পর্যন্ত ছেলেদের ১০টি টেস্ট, ৬৩টি ওয়ানডে এবং ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। এছাড়া মেয়েদের ক্রিকেটেও ১৩টি ওয়ানডে এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টি পরিচালনা করেছেন।
শরফুদ্দৌলা আইসিসির বেশ কয়েকটি বড় ইভেন্টেও আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। যার মধ্যে ২০১৭ ও ২০২১ এর মেয়েদের বিশ্বকাপ, ২০২৩ এর ছেলেদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৮ এর মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উল্লেখযোগ্য।
এলিট প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত হয়ে দারুণ উত্তেজিত বোধ করছেন শরফুদ্দৌলা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত হওয়াটা অত্যন্ত সম্মানজনক ব্যাপার। আমার দেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই প্যানেলে জায়গা পাওয়াটা আমার কাছে একটু বেশিই স্পেশাল এবং আমার প্রতি যে বিশ্বাস রাখা হয়েছে তার যৌক্তিকতা প্রমাণের চেষ্টা করব। বছরের পর বছর ধরে আমার বেশ অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং আমি আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।’
আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস শরফুদ্দৌলাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হওয়ায় শরফুদ্দোউলাকে অভিনন্দন। বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এ প্যানেলে আসার অর্জনের স্বীকৃতি দিতে চাই। অনেক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও আইসিসি টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য এটি তার প্রাপ্য পুরস্কার।’
এদিকে, আইসিসির ম্যাচ রেফারিদের এলিট প্যানেলের সদস্য সংখ্যা সাত থেকে কমিয়ে ছয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য ক্রিস ব্রডকে এলিট প্যানেলে জায়গা দেয়া হয়নি।
এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেলভুক্ত ম্যাচ রেফারির তালিকা: ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), জেফ ক্রো (নিউজিল্যান্ড), রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), অ্যান্ড্রু পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)।
এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেলভুক্ত আম্পায়ারের তালিকা: কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), কোত্সিরোফার গ্যাফনি (নিউজিল্যান্ড),মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবোরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রেইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত (বাংলাদেশ), রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া) ও জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।