স্পোর্টস ডেস্ক : ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ৬৭ রান নিয়ে। ৩২ রান নিয়ে জন ক্যাম্পবেল ও ৩০ রান নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ক্রেগ ব্রাথওয়েট। সেই জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।
টাইগার পেসারের শর্ট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে সোহানকে ক্যাচ দেন ক্যাম্পবেল। হাফসেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ব্রাথওয়েট এখন ব্যাট করছেন ৪৬ রান নিয়ে। তাকে সঙ্গ দিতে মাঠে আছেন রেইমন রেইফার। ১ উইকেটে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১০৪ রান। বাংলাদেশের চেয়ে তারা এখনো পিছিয়ে আছে ১৩০ রানে।
প্রথম দিন বল হাতে আধিপত্য দেখিয়েছিলেন উইন্ডিজের পেসাররা। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক দলের সাত বোলারের পাঁচজনই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। দুই দফায় জীবন পাওয়ার পর টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে সাজঘরে ফেরান অভিষিক্ত অ্যান্ডারসন ফিলিপ। জয়কে বোল্ড করে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনি। টাইগার ওপেনার ৩১ বলে করেন ১০ রান। অন্যদিকে ৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল।
আলজারি জোসেফের বলে পয়েন্টে থাকা জারমেইন ব্লাকউডকে ক্যাচ দেন তামিম। ৬৭ বলে ৯ চারে ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দলীয় রান স্থির থাকতে আউট হন শান্ত। কাইল মায়ার্সের বলে তিনিও এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেন। ফেরার আগে ৭৩ বলে করেন ২৬ রান। দলীয় ১০৫ রানে অ্যান্ডারসন ফিলিপের শিকারে পরিণত হন এনামুল হক বিজয়। ব্যাক্তিগত ২৩ রানে বিদায় নিতে হয় দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া এ ব্যাটারকে। চার টপ অর্ডারের বিদায়ের পর সাকিব ফেরেন ৯ বলে মাত্র ৮ রান করে।
ইনিংসের ৩৯তম ওভারে সিলসের করা অফ স্টাম্পের বলটি পয়েন্টে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে স্টাম্পে হিট করে টাইগার টেস্ট অধিনায়কের। দুর্ভাগ্যকে সঙ্গী করে সাজঘরে ফিরেন নুরুল হাসান সোহানও। আলজারি জোসেফের বাউন্সার তার গ্লাভসে লেগে হাওয়ায় ভাসতে থাকে। উইকেটকিপারও গ্লাভসবন্দি করার জন্য যথেষ্ট সুযোগ পেয়ে যান। ১৯ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ রান।
এর পর সপ্তম উইকেটে টাইগারদের বিপর্যয় কাটিয়ে লড়াইয়ের ফেরার আভাস দেয় লিটন-মিরাজ জুটি। কিন্তু মায়ার্সের বলে দেখে-শুনে খেলে মেহেদী হাসান মিরাজ পয়েন্ট থাকা ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে তাদের ২৭ রানের জুটি। ৩০ বল মোকাবিলায় ৯ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। তার বিদায়ের পর এবাদত হোসেনকে নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি হাঁকিয়ে নেন লিটন। ততক্ষণ সাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন এ উইকেটকিপার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও বিদায় নেন বাজে শটে ক্যাচ তুলে দিয়ে।
আলজারি জোসেফের করা শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ধরা দেন মিড উইকেটে থাকা ব্রাথওয়েটের হাতে। ৭০ বল মোকাবিলায় ৫৩ রান করেন লিটন। তার ইনিংসটি ৮টি চারের মারে সাজানো ছিল। এরপর ক্রিজে এসে ক্যারিবীয় বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নাস্তানাবুদ করতে থাকেন শরিফুল ইসলাম। এবাদতের সঙ্গে গড়ে তোলেন ৩৬ রানের জুটি।
সিলসের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে শরিফুলের ব্যাট থেকে ১৭ বলে আসে ২৬ রান। টেস্ট ক্রিকেটে এটিই তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এরপর ক্রিজে নেমে এবাদতকে অবশ্য সঙ্গ দিতে পারেননি খালেদ আহমেদ। ১ রান করেই তিনি শিকার সিলসের। আর তাতে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ২৩৪ রানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।