শাশুড়ি-বৌমার দ্বন্দ্ব মেটানোর দুর্দান্ত উপায়

শাশুড়ি-বৌমার চিড় ধরা

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে বিয়ের আগে থেকেই শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত ছিল সর্বাণীর। সেই অর্থে সকলেই চেনা। নতুন জায়গা বা মানুষদের সঙ্গে থাকার আড়ষ্টতাও ছিল না। কিন্তু স্নেহাশিসকে বিয়ে করে ওই বাড়িতে যাওয়ার দু’এক সপ্তাহ পর থেকেই শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে খিটিমিটি লেগেই রয়েছে।

শাশুড়ি-বৌমার চিড় ধরা

প্রথম দিকে খুব একটা আমল না দিলেও মাসখানেকের মধ্যে সর্বাণী, স্নেহাশিসকে নিয়ে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। কারণ শাশুড়ি-বৌমার অশান্তির জের তাদের সম্পর্কেও চিড় ধরাচ্ছে। তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়া হয় যে, সমস্যা দু’তরফেই ছিল, এ ক্ষেত্রে সম্পর্কের ফাটল মেরামত করতে এগিয়ে আসেনি কেউ। স্নেহাশিসও বুঝতে পারে না, তার ঠিক কী করা উচিত।

আমাদের চারপাশে এমন অনেক পরিবারই আছে, যেখানে শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্কে এমন নানা রকম সমস্যা লেগেই থাকে। এই সমস্যা নিয়ে বহু ছবিও হয়েছে। বেশির ভাগ ছবিতে ‘হ্যাপি এন্ডিং’ হলেও বাস্তবে যে সব ক্ষেত্রে যে শেষটা ভাল হবে, তেমনটা নয়। কিন্তু শেষ হওয়ার আগে যদি এক বার দপ করে জ্বলে ওঠে সম্পর্কের প্রদীপ, সেই চেষ্টা করে দেখা যেতেই পারে।

১) স্বাভাবিক ব্যবহার করুন

আগের দিনের ঝগড়ার জের টেনে পরের দিন অশান্তি শুরু করবেন না। যা হয়েছে, তা ভুলে যান। নতুন একটা সকাল, নতুন ভাবে শুরু করুন। নিজের মায়ের বা মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া হলে যেমন সকলকে সহজ ভঙ্গিতে ‘ও হতেই পারে’ বলেন, এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই ভাবতে চেষ্টা করুন দু’পক্ষ।

২) গুরুত্ব দেওয়া

আপনার জীবনে আপনার শাশুড়ি বা বৌমা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝাতে চেষ্টা করুন। ছেলের কাছে এবং মা বা বউ দু’জনেই সমান গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর দায়িত্ব কিন্তু দু’জনেরই।

স্কুল ড্রেস পরে দুর্দান্ত ড্যান্স দিয়ে তাক লাগালো এই ছাত্রী

৩) নত হওয়া

বয়সে বড় হন বা ছোট, ক্ষমা চেয়ে নিলে কিন্তু সবার রাগ গলে জল হয়ে যায়। এখন আপনি যদি ভাবেন যে, ভুল না করেও কারও কাছে কেন নত হবেন, তা হলে মুশকিল!

৪) নিজেদের চেষ্টায় কাজ না হলে, ভরসাযোগ্য এমন কাউকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসুন, যিনি নিরপেক্ষ ভাবে আপনাদের দু’জনের সমস্যার কথা শুনবেন এবং সমাধানের পথ বাতলে দেবেন।