শীতকালে অনেকেরই পানি পান করার অভ্যাস কমে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় তৃষ্ণা কম অনুভূত হওয়ায় শরীরে ধীরে ধীরে পানিশূন্যতা তৈরি হলেও তা অনেক সময় বোঝা যায় না। অথচ শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে দ্রুত পানি বের করে দেয়। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, শক্তি কমে এবং হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতেও শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি গ্রহণের বিকল্প নেই।

শীতের সকালে ঠান্ডা পানি পান করতে অনেকে অস্বস্তি বোধ করেন। সে ক্ষেত্রে গরম লেবুপানি দিয়ে দিন শুরু করা ভালো। এতে শরীর ধীরে সতেজ হয়, হজমে সহায়তা করে এবং সকালে পানি পান করার অভ্যাস তৈরি হয়। গরম পানিতে লেবুর রস ও সামান্য মধু মিশিয়ে পান করলে শরীরে প্রয়োজনীয় তরলও পৌঁছে যায়।
শীতে চা পান করার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত চা শরীরের পানি ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তাই সাধারণ চায়ের বদলে হারবাল চা পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পুদিনা, ক্যামোমাইল, তুলসী বা আদা চা শরীরে পানি যোগানোর পাশাপাশি উষ্ণতা দেয়। এসব চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক।
শীতকাল স্যুপ খাওয়ার উপযুক্ত সময়। সবজি, টমেটো বা চিকেন স্যুপ শরীর গরম রাখার পাশাপাশি পানির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। রাতের খাবারের সঙ্গে হালকা স্যুপ খেলে হজম সহজ হয় এবং শরীরও স্বস্তি পায়। পাশাপাশি কমলা, মৌসুমি লেবু, গাজরের মতো রসাল ফল শরীরে স্বাভাবিকভাবেই পানি যোগায় এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে।
শুধু পানি নয়, শরীরে তরলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ইলেকট্রোলাইটেরও প্রয়োজন হয়। শীতকালে অনেক সময় এটি উপেক্ষিত থাকে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ইলেকট্রোলাইট মিশ্রিত পানীয় গ্রহণ করা যেতে পারে। এতে ক্লান্তি কমে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে।
ব্যস্ততার কারণে অনেকেই পানি পান করতে ভুলে যান। এ জন্য মোবাইলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রিমাইন্ডার বা অ্যালার্ম সেট করা কার্যকর হতে পারে। এতে নিয়মিত পানি পান করার অভ্যাস গড়ে ওঠে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে তৃষ্ণা কম লাগলেও শরীরের পানির চাহিদা কমে না। সামান্য সচেতনতা, গরম পানীয়, স্যুপ ও মৌসুমি ফলের মাধ্যমে শীতজুড়ে পানিশূন্যতা এড়িয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



