জুমবাংলা ডেস্ক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা আল্লাহর দেওয়া উপহার। এই জাতি কখনো পেছনে থাকবে না। অথচ আমাদের লোভ-লালসা এমন পর্যায়ে চলে গেছে আমরা শুধু চাই আর চাই। এই আরও চাওয়াগুলো দুনিয়াতে কেউ ভোগ করে যেতে পারে না। এসব পিঁপড়ায় খায়। সুইস ব্যাংকে যারা টাকা রাখে অনেক সময় তাদের স্বাক্ষর মিলে না। এতে টাকা আর তোলা হয় না। ফাঁকা পকেটে ফিরে আসতে হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালার যৌথ আয়োজক ছিল পরিপ্রেক্ষিত, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বিশ্বব্যাংক।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন।
বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, গ্লোবার টেলিভিশনের এডিটর সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ডিবিসি নিউজের এডিটর প্রণব সাহা, স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর গোলাম রব্বানী।
মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারে কাজের গুরুত্বকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। আর শুল্ক কতটুকু কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো যায় সে সম্পর্কে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বসতে হবে।
সচিব সেলিম উদ্দিন বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে মেডিসিন ও ফিডের দাম কমাতে হবে। তাছাড়া দেশে দুধে ঘাটতি থাকলেও মাংস, ডিম ও মাছে স্বয়ংসম্পন্ন। আর দেশে ভিক্সিনেশনে বিপ্লব ঘটে গেছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের যেসব শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয় তাদেরকের কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠালে তারা বেশি উপকৃত হবে।
সচিব মন্ত্রণালয়ের কোথায় অন্যায় ও অনিয়ম হচ্ছে- তা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোলাম রব্বানী বলেন, ভারত দুধ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে। তারা বছরে ২ হাজার ৫০০ বিলিয়ন টন দুধ উৎপাদন করে থাকে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তৃতীয় চীন, চতুর্থ পাকিস্তান, পঞ্চম ব্রাজিল ও ষষ্ঠস্থানে রয়েছে রাশিয়া।
তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ড বিশ্বের ৪ ভাগ দুধ উৎপাদন করে ৪০ ভাগ বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দেশে ২০১৩-১৪ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত গত ১০ বছরে দুধের উৎপাদন বেড়েছে ৭৯ দশমিক ৭৬ লাখ মেট্রিক টন। আর একই সময়ে মাংসের উৎপাদন বেড়েছে ৪১ দশমিক ৮৯ লাখ মেট্রিক টন। বাংলাদেশে প্রাণি খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ছিল ৭৩ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা।
এ খাতের সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের জেনেটিক রিসোর্স নেই, মিল্ক লিঙ্কেজ মার্কেট সমস্যা, উৎপাদন ব্যয় অনেক। ভালো মানের গাভীর অভাব রয়েছে। দুগ্ধজাত পণ্য যারা রপ্তানি করেন সেখানে আন্তর্জাতিক মান নেই।
সাংবাদিক প্রণব সাহা বলেন, বাজারে মাছ-মুরগির ঘাটতি নেই। কিন্তু কৃষকের ন্যায্যমূল্য নেই। সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, সবচেয়ে বড় সাফল্যের খাত হচ্ছে কৃষি। সামগ্রিকভাবে সব মানুষের এখানে অংশগ্রহণ বেশী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।