জুমবাংলা ডেস্ক : ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন খাঁটি মুসলমান। বঙ্গবন্ধু যেমন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্থপতি, তেমনি এদেশে ইসলামের প্রচার-প্রসারেরও পথিকৃৎ। তার শাসনামলে ইসলামের খেদমতে এদেশে অনেক যুগান্তকারী কার্যক্রম গৃহীত ও বাস্তবায়িত হয়েছে।
শনিবার বিকালে লোহাগাড়া উপজেলার আখতরবাদ এলাকায় বায়তুশ শরফ আনজুমানে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ আয়োজিত বার্ষিক ইছালে সাওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বায়তুশ শরফের পির আল্লামা শায়খ মোহাম্মদ আবদুল হাই নদভী, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য এমএ মোতালেব এমপি, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামুল হোসেন, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রমুখ।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে ইসলামের নানা খেদমত করে গেছেন। তা বিশ্বে অনন্য নজির। তিনি ইসলামের চেতনা নিয়ে জম্মেছিলেন। তিনি সব সময় ইসলামের মহানুভবতা ও উদারতা লালন করেছেন। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে ইসলামের খেদমতের কথা চিন্তা করেন, সেভাবে পূর্বে কোনো রাষ্ট্রনায়ক চিন্তাও করেননি। সারা দেশে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদগুলোর সুযোগ-সুবিধা দেখলে বোঝা যায়, তিনি কতটা সুনিপুণভাবে ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন। এ দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইসলামের প্রতি শেখ হাসিনার খেদমতের অমরগাথা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ইছালে সাওয়াব মাহফিলের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে দেশ, জাতি, মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে বায়তুশ শরফের পির আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
বড়পির গাউছুল আযম হযরত মহিউদ্দন আবদুল কাদের জিলানীর (রা.) স্মরণে বায়তুশ শরফের প্রাণপুরুষ শাহসুফি হযরত মাওলানা মীর মোহাম্মদ আখতর (রাহ.) প্রায় সাত দশক আগে আখতরাবাদে এ মাহফিলের প্রবর্তন করেন। ১৯৭১ সালে তার ইন্তেকালের পর বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার মাওলানা আবদুল জব্বারের (রাহ.) হাতে এ ইছালে সাওয়াব মাহফিলের সুমাম-সুখ্যাতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৯৮ সালে ইন্তেকালের পর তার ছায়াসাথী বায়তুশ শরফের মরহুম পির শাহসুফি মাওলানা মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিনের (রাহ.) তত্ত্বাবধানে মাহফিলটি পরিচালিত হয়। ২০২০ সালে তার ইন্তেকালের পর বায়তুশ শরফের বর্তমান রাহবার বিশিষ্ট ইসলামি গবেষক, লেখক আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভীর পরিচালনায় ২০২১ সাল থেকে মাহফিলটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।