জুমবাংলা ডেস্ক : অল্প পুঁজিতে অধিক ফলন পাওয়া যায়। তাই কেউ কেউ বাড়ির পাশে ও চাষিদের পতিত জমি খালি না রেখে কলা চাষ করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, জেলায় এবার ৬০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সম্পূর্ণ পূরণ হয়েছে। এ উৎপাদন সারা বছর চলমান থাকে। বগুড়ার শিবগঞ্জে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কলা চাষ। এই উপজেলার মাটি কলা চাষের জন্য খুব উপযোগী হওয়ায় চাষিরা কলা চাষে ঝুঁকছেন।
চন্ডিহারা গ্রামের আবুল মুনছুর বলেন, কলা চাষ অত্যন্ত লাভজনক। আমি আমার ১ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছি। তার পাশাপাশি পুকুরের পাড়েও কলার গাছ লাগিয়েছি। কলার উৎপাদন ও ভালো দাম পেয়ে আমি খুশি। কলায় লাভ বেশি হওয়ায় শিবগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে চাষিরা কলা চাষে ঝুঁকছেন ।
উপজেলার চন্ডিহারায় রংপুর- বগুড়া মহাসড়কের কলার হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের কেনা-বেচায় মুখরিত হয়ে ওঠে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নামে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঢল। সপ্তাহে দুইদিন বসে এই হাট। কলা চাষিরা রিকশা ভ্যান বোঝাই করে কলা নিয়ে আসে চন্ডিহারা হাটে। সকাল থেকে কলার হাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা আসে হাটে। তারা এই হাট থেকে কলা কিনে সারাদেশে সরবরাহ করে।
কলা চাষি আকরাম বলেন, এবছর আমার জমিতে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। সাগার কলা, রঙিন সাগর, চাঁপাকলার চাষ করেছি। আমার জমির উৎপাদিত কলা চন্ডিহারার হাটে নিয়ে বিক্রি করি। আশা করছি লাভবান হবো।
জেলার কাহালু উপজেলার কলার ব্যাপরী আনছার হোসেন বলেন, আমি প্রায় ৩০ বছর এ হাট থেকে কলা কিনে নিয়ে বিক্রি করি। এলাকায় পইকারীতে বিক্রি করে বেশ ভালো দাম পাই। চাঁপা কলা এক কাঁদি ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। এক কাঁদিতে প্রায় ১৫০-২০০ কলা থাকে। খুচরা বাজারে এ কলা ১৫-২০ টাকা হালি আবার ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়ে থাকে। সাগার ও রঙিন সাগার কলা দামও প্রায় একই রকম। তবে কৃষক সপরী কলার দামভালো পেয়ে থাকেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আল মুজাহিদ জানান, চন্ডিহারার হাট থেকে প্রতি হাটবারে ২০ ট্রাক কলা বিক্রি হয়ে থাকে। এতে প্রতিহাট বারে ১৫০ টন থেকে পৌনে ২০০ টন বিক্রি হয় এ হাট থেকে। তবে ভালা দাম পেয়ে চাষি ও ব্যাপরীরা খুশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।