জুমবাংলা ডেস্ক : পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা চরগুলোতে এখন অতিথি পাখির অভয়ারণ্য। প্রতি বছরের মতো শীত মৌসুমের শুরুর দিকে হাজারো রংবেরঙের নানা প্রজাতির পাখি আসে। সীমানা পেরিয়ে সাময়িক আশ্রয়স্থল হিসেবে চরবিজয়, গঙ্গামতিরচর ও কাউয়ারচর এলাকা বেছে নেয় তারা।
এদের মধ্যে রয়েছে রামঘুঘু, ধূসর বটের, হলদে খঞ্চনা, গাঙচিল, চোখাচোখি, বদর কবুতরসহ অসংখ্য বালিহাঁস। নাম না জানা নানা বর্ণের এসব পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে ওইসব চর। যেন এক নৈসর্গিক পরিবেশ। দিগন্তজোড়া আকাশ আর সমুদ্রের নীল জলরাশি আছড়ে পড়ছে কিনারায়। একই সঙ্গে সাদা গাঙচিলের দল এদিক-ওদিক উড়ে যাচ্ছে। আর আগত পর্যটকরা উপভোগ করছেন পাখির ওড়াওড়ি। অবাধ বিচরণ আর ডানা মেলে উড়ে বেড়ানো কিংবা দল বেঁধে পানিতে ভেসে চলার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও করছেন অনেকে। আবার দর্শনার্থীরা কাছে যেতেই ঝাঁক বেঁধে কিচিরমিচির শব্দ করে এসব পাখি উড়ে যায় আকাশে।
পর্যটকরা জানান, সামাজিক সংগঠন ও সরকারের পক্ষ থেকে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল সৃষ্টিতে পদক্ষেপ নেওয়া হলে ভবিষ্যতে এই এলাকায় আরও বেশি পাখির আগমন ঘটবে। একই সঙ্গে এলাকাটি সুস্থ বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠবে।
আজ সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার সিরিজ ড্র্রোন হামলা
পরিবেশবীদের মতে, এসব পাখি শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে কয়েক মাসের অতিথি হয়ে এ দেশে আসে। এরা মূলত বেশির ভাগই উপকূলীয় দ্বীপ এবং চরাঞ্চলগুলোতে আশ্রয় নেয়। তবে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে পাখিরা ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন এবং মাটিকে উর্বর করে তোলাসহ জলজ পরিবেশ সুন্দর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আবাসস্থল ধ্বংস এবং শিকারিদের ফাঁদে পড়ে এদের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।