বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশে তাপমাত্রা প্রচণ্ড বেড়ে গেছে। তীব্র গরমে একটু প্রশান্তির জন্য অনেকেই এসি কিনতে চাচ্ছেন এখন। এক সময়কার উচ্চবিত্তদের বিলাসিতা এসি এখন উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তের প্রয়োজনীয়তায় রূপ নিয়েছে। যারা নতুন এসি কেনার কথা ভাবছেন, তাদের করতে হচ্ছে নানা চিন্তাভাবনা। কোন এসি কিনলে বিদ্যুতের বিল কম আসবে। ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার এসি কিনবেন?
ইনভার্টার এসি কী?
ইনভার্টার এসির বড় সুবিধা হচ্ছে, ইনভার্টার এসির কমপ্রেসর মোটরটি প্রয়োজনমতো তার চলার গতি পরিবর্তন করতে পারে। ইনভার্টার এসিতে এমন একটি সেন্সর থাকে, যা ঘরের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে, কমপ্রেসর পুরোপুরি বন্ধ না করে, মোটরটির চলার গতি কমিয়ে দেয়। এর কারণেই বিদ্যুৎ খরচ কমে আসে। কিন্তু অন্যদিকে নন ইনভার্টার এসির কমপ্রেসর বারবার চালু-বন্ধ হয়, তাই অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। এটি সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ভালো দক্ষতা এবং কম শব্দের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
নন-ইনভার্টার এসি কী?
নন-ইনভার্টার এসি মূলত ইনভার্টার এসির বিপরীত। এগুলি ফিক্সড-স্পিড কম্প্রেসারসহ প্রচলিত এসি। একটি নন ইনভার্টার এসিতে এর কম্প্রেসারটি একটি নির্দিষ্ট গতিতে চলতে থাকে, এর মানে কম্প্রেসারটি চালু রেখে দিলে ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা ক্রমাগত কমতেই থাকবে। ঘরের ঠান্ডা কিছুটা বেশি হয়ে গেলেই, এর কম্প্রেসারটি বন্ধ করে দেয়, আবার গরম কিছুটা বেড়ে গেলে আবার সেটিকে চালু করে দেয়। এই অন অফ হওয়ার ব্যাপারটা পুরোপুরি একজন ব্যবহারকারীর সেটিংস বা নির্ধারিত তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।
কোন এসি ভালো?
ইনভার্টার এসির কম্প্রেসার নন-ইনভার্টার এসির মত বার বার চালু এবং বন্ধ হয় না। প্রয়োজনমত গতি কমিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। অন্যদিকে, নন-ইনভার্টার এসির কম্প্রেসার বার বার বেশ শব্দ করে চালু এবং বন্ধ হয়। এমনকি যখন চলে তখনও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশ শব্দ তৈরি করে। তাই এ ক্ষেত্রেও ইনভার্টার এসি সাধারণ এসি থেকে এগিয়ে থাকছে।
ইনভার্টার এসিতে আপনার ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে, কারণ এসি চালু হবার সময়ে ইনভার্টার এসি সাধারণ এসির চেয়ে বেশি শক্তি খরচ করে দ্রুত ঘর ঠান্ডা করে, এরপর শক্তি কমিয়ে ধীরে চলতে থাকে। অন্যদিকে, নন-ইনভার্টার এসি চালুর সময় স্বাভাবিক শক্তিতেই চালু হয়, কিছু সময় ধরে ঘর ঠান্ডা করার পর আবার পুরো বন্ধ হয়। ঘরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আবার চালু হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।