বিনোদন ডেস্ক : সাধারণত এই ধরনের দাঁত থাকলে অনেকেই প্রাথমিকভাবে তা ক্লিপে আটকে রাখে। কিন্তু তিনি কখনই এমনটা করেননি। কারণ একটাই তাঁর মা বরাবরই তাঁকে সাহস দিয়ে এসেছেন, এই সব পরিস্থিনিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে।
শ্রুতি দাস, অভিনেত্রী বরাবরই সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নেয় তাঁর ছকভাঙা লুক। টেলিভিষনের পর্দা থেকে অভিনয় কেরিয়ার শুরু। কখনও গায়ের রঙ, কখনও আবার স্বজনপোষণ শ্রুতিকে কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি।
এবার শৈশবের এক অজানা গল্প সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন তিনি। তাঁর সামনে থাকা দাঁতের পাটিতে একটি অসমান দাঁত। সাধারণত এই ধরনের দাঁত থাকলে অনেকেই প্রাথমিকভাবে তা ক্লিপে আটকে রাখে। কিন্তু তিনি কখনই এমনটা করেননি। কারণ একটাই তাঁর মা বরাবরই তাঁকে সাহস দিয়ে এসেছেন, এই সব পরিস্থিনিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার শ্রুতি সেই প্রাণ খোলা হাসি নিয়ে সকলের নজর কাড়লেন। আর লিখলেন একটি দীর্ঘ পোস্ট। ”ভাগ্যিস আমি ছোটোবেলায় লোকের কথা শুনে দাঁতে ক্লিপ করাইনি, মা বলে ঠোঁট চেপে হাসবি না, মুখ খুলে হাসবি প্রান খুলে একদম দাঁত বের করে।
তুই সব দিক থেকে সুন্দর। সবাই বলে, এতো মানুষ তোমার উইল-পাওয়ার ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে তাও তুমি এতো স্ট্রং কী করে দিদি? কারণ আমার মা আমায় কখনও বুঝতেই দেয়নি যে আমি কোনও অংশে দুর্বল। আমার কোনও খুঁত থেকে থাকলেও, বুঝিয়ে এসেছে চাঁদের গায়েও কলঙ্ক আছে। তাই মা জানলার পাশ থেকে আসা চাঁদের আলোয় এখনও আমার ঘুমন্ত মুখ দেখে আর শান্তিতে আদরে বুকে টেনে নেয় আবার চুপিচুপি আদরও করে।
আমি কিন্তু টের পাই না। আমি অনেক পরে জেনেছি এটা নাকি মায়ের অভ্যেস। কারণ আমার মা সারাদিন বাবু-বাবু মেয়ে-মেয়ে করে না। খালি দুই বোনের মতো ঝগড়া মান অভিমান খুনসুটি চলে। তবে এই বেশ ভাল আছি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।