জুমবাংলা ডেস্ক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “শুধু তৌহিদী জনতা নয়, সব জনতাই নিয়ন্ত্রণ করছি। সব জনতা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের।”
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তৌহিদী জনতার নামে সম্প্রতি বইমেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বিভিন্ন জনতা বিভিন্ন সমস্যা ক্রিয়েট করতেছে। তবে আমরা সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করছি। সব জনতা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের। কোন ধরনের জনতা কিসের জন্য মব ক্রিয়েট করে সেটার ব্যাপারে গণমাধ্যমকেও খেয়াল রাখতে হবে।”
গত ৬ মাসে দেশে দুর্নীতি কমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দুর্নীতি আমাদের সব জায়গায় গ্রাস করে নিয়েছে। দুর্নীতি যদি কমানো যায় তাহলে সব সেক্টরে উন্নতি হবে৷ আমাদের বড় সমস্যা এটা। এই মাসের আগের থেকে অনেক দুর্নীতি কমেছে, তবে সহনীয় পর্যায়ে আসে নাই।”
তিনি আরও বলেন, “পুলিশ ভেরিফিকেশন উঠিয়ে দেওয়া অনেকদিনের ইচ্ছা। ভোগান্তি দূর করাই সরকারের লক্ষ্য। পাসপোর্ট রোহিঙ্গারা করছে কিনা সেটা জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে চেক করা হবে। রোহিঙ্গাদের কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছে কিনা প্রয়োজনে রিভিউ করা হবে।”
কোস্ট গার্ডের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের নদীপথ ও সমুদ্রের উপকূলের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের। তারা এটি খুব ভালোভাবে করে যাচ্ছে।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন মিয়ানমার সীমান্তে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। কোস্টগার্ড সফলতার সঙ্গে সমাধান করছে। বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা আমাদের জেল সীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়৷ এসব ক্ষেত্রেও কোস্ট গার্ড ভালো ভূমিকা রাখছে।”
উপকূল এলাকায় মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি প্রবেশ করছে। এইসব এলাকায় নজরদারি কতটা আছে? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা জানেন আমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের যে অঞ্চল আছে এই এলাকায় বর্তমানে মিয়ানমার সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ জন্য কোস্টগার্ড ও বিজিবির কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু তারা সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে তাই আমাদের উপকূল এলাকা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। এখানে কোনো ধরনের সমস্যা নেই।”
আরাকান আর্মিরা সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করে বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সীমান্ত এলাকায় ঢুকে কাউকে নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। আপনারা জানেন আমাদের জেলেরা মাছ ধিরতে গিয়ে সীমানা অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করে ফেলে তখন এই ঘটনা ঘটে।”
পুলিশের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না। কোনো পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা যতজন অফিসারকে আইনের আওতায় এনেছি। গত ৫৩ বছরে তা হয়নি। আমরা যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি সেখানে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেক সময় রিপোর্ট হওয়ার পর আমাদের তদন্ত করতে হবে। অনেক সময় সত্যতা পাওয়া যায় আবার অনেক সময় মোটিভেটেড সংবাদও পাওয়া যায়। এজন্য যেটার সত্যতা পাওয়া যায় সেটাতে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেমন আজকে একটি খবর দেখলাম। সঙ্গে সঙ্গে ওটার ইনভেস্টিগেশন শুরু করতে বলছি। সত্যতা পাওয়া গেলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।