মিশরের শারম আল শেখ শহরে সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ‘গাজা পিস সামিট’ বা গাজা শান্তি সম্মেলন অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেওয়ার পরই সবার আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির নথিতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবির পক্ষে কিনা তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি একক রাষ্ট্র বা দ্বি-রাষ্ট্র বিষয়ে কথা বলছি না, আমরা গাজার পুনর্গঠনের কথা বলছি।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “অনেক মানুষ এক-রাষ্ট্র সমাধান পছন্দ করেন। কিছু মানুষ দুই-রাষ্ট্র সমাধান পছন্দ করেন। বিষয়টি আমাদের দেখতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করিনি।”
সোমবার গাজা শান্তি সম্মেলনের ট্রাম্পের ভাষণের আগে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি তার বক্তব্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মুহূর্তটির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন। তিনি এটিকে ‘স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য হুমকিস্বরূপ যেকোনো কিছু থেকে মুক্ত মধ্যপ্রাচ্য অর্জনের জন্য একটি অনন্য, সম্ভবত শেষ ঐতিহাসিক সুযোগ’ বলে অভিহিত করেন।
মিশরের প্রেসিডেন্ট পুনর্ব্যক্ত করেন, “একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান এমনভাবে অর্জন করতে হবে যাতে এই অঞ্চলের জনগণের মধ্যে যৌথ সহযোগিতা এবং সকল দেশের মধ্যে সহযোগিতার আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করা যায়।”
স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতি ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সমর্থনের কয়েক সপ্তাহ পরেই ট্রাম্প এ বিষয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করলেন।
গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থনের গতিকে হামাসের জন্য ‘পুরষ্কার’ উল্লেখ করে সমালোচনা করেছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।