যুক্তরাষ্ট্রের Silicon Valley বিশ্ব প্রযুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। প্রতি বছরই নতুন নতুন স্টার্টআপ এই শহর থেকে যাত্রা করে। এদের কোনো কোনোটি পৃথিবীর চালচিত্র ও অর্থনীতির গতি বদলে দেয়। Silicon Valley শহরটি যুক্তরাষ্ট্রের সেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। যে কারণে প্রায় শীর্ষ সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই শহরে তাদের হেডকোয়ার্টার গড়ে তুলেছে। ভিড় করছেন সেরা প্রযুক্তিবিদ ও শিক্ষার্থীরা। বলা হয়, এই শহরে দক্ষ প্রযুক্তিবিদদের বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। বাঘা বাঘা প্রতিষ্ঠানগুলো সেরা কর্মীদের সর্বোচ্চ বেতন সুযোগ সুবিধা দিয়ে নিয়োগ দিয়ে থাকে। Silicon Valley শহরটি যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩০০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে সিলিকন ভ্যালির অবস্থান। সান ফ্রান্সিসকোর প্রযুক্তির এই শহরেই গুগল, ইয়াহু, অ্যাপল, অ্যাডোবি, এইচপি, ইন্টেল, ইবে, ওরাকল, আসুস, ফেসবুক, সিমেন্সের মতো বড় বড় কোম্পানির শুরু হয়। ১৯৯৫ সালের পর Silicon Valley হয়ে ওঠে ইন্টারনেট অর্থনীতি এবং উচ্চপ্রযুক্তি সংক্রান্ত বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে। এখন এই শহরে মাঝারি আকৃতির একটি বাড়ি কিনতে গেলেই গুনতে হবে ১০ লাখ মার্কিন ডলার। সিলিকন ভ্যালির সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা সম্ভবত ইস্ট পালো আলটো। এখানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বাস।
এর উত্তরে ফেসবুক, আর দক্ষিণে গুগলের সদর দফতর। প্রযুক্তির এই শহরে সবকিছুর দামই আকাশছোঁয়া। এখানে বাথরুমসহ এক বেডরুমের ফ্ল্যাটের জন্য ভাড়া গুনতে হয় বাংলাদেশি টাকায় ১-৫ লাখ। এর কারণও রয়েছে। এসব বাসা সাধারণ শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় পদের কর্মীরা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তাদের উচ্চ বেতন ও আয়ের কারণেই শহরটিতে বাসা ভাড়া এত বেশি। অনেকে আবার রিক্রিয়েশনাল ভ্যান তৈরি করে নিয়েছেন। এসব ভ্যানের ভিতরে এসি, সোফা, টিভি, রান্নাঘর সবই আছে। সিলিকন ভ্যালির ২০ শতাংশ কর্মী সান ফ্রান্সিসকোর বাইরে থাকেন। স্টকটন বা মডেস্টোর মতো শহরগুলোতে। যেখান থেকে আসতে কর্মীদের দেড় ঘণ্টা গাড়িতে থাকতে হয়। যাতায়াতের জন্য সিলিকন ভ্যালিতে ইলেকট্রিক স্কুটার ব্যবহারের জনপ্রিয়তা এখন ব্যাপক। সিলিকন ভ্যালিতে আয়ের বড় একটি উৎস হতে পারে বক্তৃতা। এখানে বক্তৃতা দিয়ে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করে বসেন অনেকে। এর পেছনে বড় কারণ দুনিয়া পাল্টে দেওয়া বড় প্রযুক্তিবিদরা বিভিন্ন সেমিনারে হাজির হন। এসব সেমিনার সামনাসামনি বসে শোনার সুযোগও পায় খুব সীমিত সংখ্যক লোক। উচ্চমূল্যে টিকিট কেটে তবেই শুনতে হয় এখানে বক্তৃতা।
মঙ্গল থেকে পৃথিবীর ছবি তুলে পাঠালো নাসার কিউরিয়োসিটি রোভার, যেমন দেখাচ্ছে আমাদের গ্রহকে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।