জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সামনে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ একযোগে কাজ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাধারণ জনতা হিসেবে দাবি করে বেশ কিছু লোক এখানে এসে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় নাট্যকর্মীরা সেখান থেকে সরে যান। সাধারণ জনতা বলেছেন, ‘নিত্যপুরাণ’ নাটক প্রদর্শনী তারা আর হতে দিবেন না।
তবে শিল্পকলা একাডেমির প্রবেশদ্বারের মুখে নাট্যকর্মীরা অবস্থান নেন। সমাবেশে ঢিল ছুড়ে মারার পর বক্তব্যে বিশিষ্ট নাট্যনির্মাতা মামুনুর রশীদ বলেন, ‘সভা শেষ করব না। ভেতরে নাটক হবে, বাইরে আমরা পাহারা দেব। এই দুষ্কৃতিকারীদের দেখে ছাড়ব।’
এ ঘটনার প্রতিবাদে ১৫ নভেম্বর সারা দেশে প্রতিবাদ সভা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ শিল্পকলায় একটি নাটকের প্রদর্শনী চলছে। সে প্রদর্শনী শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সমাবেশস্থলে অবস্থান করবে।
এর আগে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বিক্ষোভের মুখে শনিবার (২ নভেম্বর) বন্ধ হয়ে যায় দেশনাটক দলের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী।
জানা যায়, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে সেখানে ঢিল ছুঁড়ে মারেন একদল ব্যক্তি। তবে এসব হামলাকারী কারা, সে বিষয়ে জানা যায়নি।
এদিন নাট্যদলটির প্রদর্শনী চলার সময়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নাটক বন্ধের নির্দেশ দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
এদিকে নাটক বন্ধ হওয়া নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং থেকে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত শনিবার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘দেশ নাটক’ প্রযোজিত নাটক ‘নিত্যপুরাণ’ মঞ্চায়নের সময় এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীদের নির্বৃত্ত করার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট সরকার যেভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিত, সে প্রক্রিয়ায় না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য শিল্পকলা একাডেমি একাধিকবার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ক্ষান্ত হয়নি। বরং তাদের সংখ্যা বেড়ে গেলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার উপক্রম হয়। তখন অভিনয়শিল্পী ও দর্শকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ‘দেশ’ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে দর্শকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে প্রদর্শনী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিন্তু গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় ‘শিল্পকলায় নাটকের প্রদর্শনী বন্ধের ঘটনা সমর্থন করে না সরকার’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের মূল বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে এটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যা করেন অভিষেক, আর পারছেন না ঐশ্বরিয়া
প্রকৃতপক্ষে তিনি বিক্ষুব্ধকারীদের নাটক বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাকে অর্থাৎ শিল্পচর্চার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সরকার সমর্থন করে না মর্মে বুঝিয়েছেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।