বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মরসুমের হিসাবে বর্ষাকাল হলেও, তাপমাত্রা দেখে মনে হচ্ছে এখনও গ্রীষ্মকাল বিদায় নেয়নি। এক মুহূর্ত ফ্যান ছাড়া থাকা মুশকিল হয়ে গিয়েছে। সকালে প্রখর রোদের তেজ না থাকলেও, বৃষ্টিরও দেখা নেই বেশ অনেকদিন হয়ে গেল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ফ্যান, কুলার, এসির মতো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ছাড়া কেউ থাকতে পারছে না। আর এই কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইলেকট্রিক বিলও।
এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ইলেকট্রিক বিল কত আসবে এই চিন্তা করে করেই দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি এমনও অনেকে রয়েছেন যারা বিদ্যুতের বিল কম আসবে ভেবে ফ্যানের স্পিড কম করে দিচ্ছেন। আসলে আমাদের অনেকের মধ্যেই এমন একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে কম স্পিডে ফ্যান চালাতে ইলেকট্রিল বিল কম আসে। কিন্তু আদৌ কি এমনটা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক আসল সত্যিটা।
যে কোনও ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করে রেগুলেটর। আগে বাজারে এক ধরণের রেগুলেটর পাওয়া যেত। তবে এখন প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে দুধরণের রেগুলেটর এসেছে মার্কেটে। এক, সাধারণ রেগুলেটর এবং ইলেকট্রনিক রেগুলেটর। ইলেকট্রিশিয়ানদের মতে, যদি ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করা হয় তাহলে ফ্যানের স্পিড এবং বিদ্যুতের বিল দুই-ই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
অপরদিকে বাজারে যে সাধারণ রেগুলেটর পাওয়া যায় তাতে বিদ্যুতের বিল নিয়ন্ত্রিণ করা যায় না। অর্থাৎ আপনি ফ্যান জোরে চালাচ্ছেন নাকি আস্তে তার প্রভাব ইলেকট্রিক বিলের ওপর পড়ে না। তবে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে আপনি বিদ্যুতের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
ইলেকট্রনিক রেগুলেটরের আকার সাধারণ রেগুলেটরের থেকে একটি বড় হয়। সেই জন্য আপনি যদি বিদ্যুৎ বাঁচাতে তথা সাশ্রয় করতে চান তাহলে আপনার ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করা উচিত। তবে জানিয়ে রাখা দরকার, ইলেকট্রনিক রেগুলেটরের দাম কিন্তু সাধারণ রেগুলেটরের থেকে অনেকটাই বেশি।
আপনি যদি ইলেকট্রনিক রেগুলেটর কিনতে চান তাহলে খোলা বাজার থেকেও কিনতে পারেন আবার অনলাইন থেকেও অর্ডার দিতে পারেন। এখন অ্যামাজন-ফ্লিপকার্টে একাধিক ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক রেগুলেটর পাওয়া যায়। সেই জন্য আজই ঝটপট দেখে নিন আপনাদের বাড়ির ফ্যানের রেগুলেটর কোন ধরণের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।