জুমবাংলা ডেস্ক : মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর পৌরসভার দীর্ঘ দিনের রাস্তা বন্ধ করায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ৩ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সিঙ্গাইর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের চর আজিমপুর এলাকার ওই রাস্তাটি দ্রুত খোলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে রাস্তা খালি না করলে রাস্তা দখলকারীদের বিরুদ্ধে পৌরসভা মামলা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
স্থানীয় লোকজন ও পৌরসভার অফিস সূত্রে জানাগেছে, প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে সিঙ্গাইর পৌরসভার চর আজিমপুর এলাকার লিটনের বাড়ি থেকে কাংশা চান মিয়ার টিউবওয়েল কারখানা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটারের কাঁচা রাস্তা তৈরি করা হয়। ১৪ ফিট প্রস্ত রাস্তাটির পাশে কয়েকটি বাড়ির দেয়াল ও ঘরের কিছু অংশ পড়লে পৌরসভা দীর্ঘদিন ধরে তাদের ঘরবাড়ি ও দেয়াল সড়ানোর তাগিদ দিয়ে আসে। রাস্তা থেকে স্থাপনা সড়াতে ওই এলাকার নয়ন শিকদার,আনোয়ার মওলানা, সোহেল রানা,আরিফ খা,শামিম হোসেনসহ ৬ পরিবারকে স্থাপনা সড়ানোর খরচ হিসেবে ১০ হাজার করে টাকা প্রদান করে পৌরসভা। তবে দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও কেউই স্থাপনা সড়ানোর উদ্যোগ নেয়নি।
গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি দিয়ে আজিমপুর,চর আজিমপুর,কাংশা এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। এদিকে ওই ৬ পরিবার তাদের স্থাপনা না সড়ানোয় সরু মোল্লা নামে এক ব্যক্তি বেড়া দিয়ে পুরো রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় আব্বাস খান বলেন, রাস্তাটি দিয়ে ৩ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। আগে তো চলাচল করা যেত। এখন সরু মোল্লা বেড়া দেওয়ায় একেবারেই চলাচল করা যাচ্ছে না।
আবুল হোসেন নামে এক কৃষক বলেন, চর আজিমপুর চকে যাওয়ার সহজ রাস্তা এটি। গবাদিপশু ও জমির ফসল নিয়ে সবাই এই রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরেন। রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় সকলের চরম অসুবিধা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি জানাই ।
পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ৬ টি পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দিয়ে তাদের স্থাপনা সড়াতে একাধিকবার তাগিদ দিয়ে আসছি। কেউই কোন কথা শুনছেন না। এখন পৌরসভা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
রাস্তায় বেড়া দেওয়া সরু মোল্লা বলেন, রাস্তাটি আমার জমির পাশে হওয়ায় আমিও ৭ ফিট রাস্তা দিয়েছি। কিন্তু আমার পাশের জমির মালিক তার ঘর সরিয়ে না নেওয়ায় পুরো রাস্তা আমার জমির উপর দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। পাশের জমির মালিক যদি রাস্তা দেয়, আমিও রাস্তা দেবো।
স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ
সিঙ্গাইর পৌরসভার মেয়র আবু নাঈম মোঃ বাশার বলেন, ৬ পরিবার স্থাপনা সরিয়ে নিতে ১০ হাজার করে টাকাও নিয়েছে কিন্তু তারা তাদের স্থাপনা সরাচ্ছেন না। এবিষয়ে একাধিকবার অনুরোধ ও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে তারা রাস্তা খালি না করলে ৬ জনেরই বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।