জুমবাংলা ডেস্ক : “স্যার প্লিজ স্যার আমাকে হেল্প করেন। আমার আব্বু-আম্মু আমাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। আমি…নিয়মিত ছাত্রী। আমার রোল ১।” বাল্যবিয়ের হাত থেকে বাঁচতে প্রধান শিক্ষককে এই মেসেজ পাঠায় গাজীপুরের শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী (১৬)।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে শ্রীপুর পৌরসভার বাড়িতে ওই কিশোরীর বিয়ের আয়োজন চলছিল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি আমাদের স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থী। বাবা-মা তাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সে ফেসবুক মেসেঞ্জারে আমাকে মেসেজ পাঠিয়ে সহযোগিতা চায়। আমি বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের জানাই। তাদের সহযোগিতায় ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধ করা হয়।”
ওই শিক্ষার্থীর ভাষ্য, “আব্বু-আম্মু আমাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন। বিয়ের প্রস্তুতি চলার সময় পাশের বাড়ির একটি মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুকে লগইন করে হেড স্যারকে (প্রধান শিক্ষক) মেসেজ পাঠাই। স্যারের হস্তক্ষেপে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছি আমি।”
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধ করে দেই। ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা’কে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।