আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাতের খাবার দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় স্ত্রীর শিরশ্ছেদ করে হত্যার পর তার শরীর থেকে চামড়া ছাড়িয়ে দেহ টুকরো টুকরো করেছে স্বামী। এমনই লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের তুমকুরুর একটি গ্রামে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, শিবরাম নামে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হোলিয়ুরুদুর্গা গ্রামের বাসিন্দা শিবরাম জানিয়েছেন, রাতের খাবার দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তিনি স্ত্রী পুষ্পার (৩৫) শিরশ্ছেদ করে হত্যার পর তার গায়ের চামড়া তুলে নেন। পুলিশ আরো জানিয়েছে, শিবরাম-পুষ্পা দম্পতির ১০ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল এবং একটি ভাড়া বাসাতে আট বছরের ছেলে সন্তানসহ তারা একসঙ্গে থাকত।
শিবরামকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার রাতে শিবরাম ও পুষ্পার মধ্যে ঝগড়া হয়। পেশায় স মিলের শ্রমিক শিবরাম তার কর্মস্থল থেকে ফিরে এসে খাবার চাইলে তা নিয়েই শুরু হয় ঝগড়া। পুলিশ জানিয়েছে, শিবরামের পেশা নিয়ে দীর্ঘদিনের আপত্তি ছিল পুষ্পার।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, ঝগড়ার একপর্যায়ে পুষ্পা তার স্বামীকে রাতের খাবার বেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় রেগে গিয়ে একটি চাপাতি দিয়ে শিবরাম তার স্ত্রীকে কোপাতে থাকেন এবং একপর্যায়ে তার মুণ্ডুচ্ছেদ করেন। পরে সারা রাত ধরে স্ত্রীর গায়ের চামড়া ছাড়িয়ে তার দেহকে টুকরো টুকরো করেন শিবরাম। পুরো ঘটনার সময় ওই দম্পতির সন্তান ঘুমাচ্ছিল।
পরে ভোরবেলায় শিবরাম যে বাসায় থাকতেন, সেটির মালিককে রাতের ঘটনার কথা জানান। এরপর তিনি বিষয়টি পুলিশে জানালে তারা এসে শিবরামকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
তুমকুর থানার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট অশোক ভেঙ্কট বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি (শিবরাম) হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়া হয়েছিল। তারা চাকরি নিয়ে ঝগড়া করেছিলেন। তিনি স্ত্রীকে হত্যা করার পর বিষয়টি তার বাড়ির মালিককে জানান। পরে তিনি আমাদের ডেকে পাঠান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।