বাসাবাড়িতে শীতের সময় সবচেয়ে বেশি গিজার ব্যবহার হয়। একটি গিজার থাকলেই গোসলের জন্য কিংবা খাওয়ার পানি গরম করার ঝামেলা থেকে রেহাই মেলে। আবার গিজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানান সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যায়। বৈদ্যুতিক উপায়ে চলা গিজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে খুব সহজে বিদ্যুৎ খরচ কমানো সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো-

১. সব সময় গিজার চালু রাখার অভ্যাস ত্যাগ করা
অনেকে সময়ের জন্য গিজার চালু রাখলে তা বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে দেয়। প্রয়োজনের সময় কিছুক্ষণ গিজার চালু রাখার পরে এটি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ পানি দ্রুত গরম হয়ে যায়। যদিও বর্তমানে অটো-কাট গিজার পাওয়া যায়, পানি গরম করার সঙ্গে সঙ্গেই এগুলো বন্ধ হয়ে যায়। তবে যদি কারও কাছে পুরোনো গিজার থাকে, তবে এতে এই বৈশিষ্ট্য নাও থাকতে পারে।
২. সতর্কতার সঙ্গে গিজারের পানি ব্যবহার করা
আমরা গোসল করা বা থালা বাসন ধোয়ার সময় প্রতিবার গিজার চালু করি। তবে প্রথমেই ট্যাপটি খুলে পরীক্ষা করা উচিত যে গরম পানি পড়ছে কি না। যদি কেউ এরই মধ্যে গিজার ব্যবহার করে থাকেন, তবে গিজারে কিছু গরম পানি অবশিষ্ট থাকতে পারে, যা এটি আবার ব্যবহার করা এড়াতে সাহায্য করবে। গিজারে পানি কয়েক ঘণ্টা ধরে গরম থাকে। এটি বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে পারে।
৩. গিজার ব্যবহারে থার্মোস্ট্যাট সেট করা
গিজার চালানোর ফলে যদি বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যায়, তাহলে এটি ব্যবহারের সময় এর থার্মোস্ট্যাট ৫০-৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করে নেওয়া ভাল। এটি নিশ্চিত করে যে গিজারটি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গরম করে এবং বিদ্যুৎ খরচ কমায়, যা বিদ্যুৎ বিল কমাতে সাহায্য করে।
৪. পুরোনো গিজার পরিবর্তন করা
ঘরে ব্যবহৃত গিজারটি যদি অনেক পুরোনো হয়, তাহলে এটি বদলে নেওয়া উচিত। কারণ এটি প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ করে এবং এ গিজারে সর্বশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোর অভাব রয়েছে। এই ক্ষেত্রে একটি ৫-স্টার গিজার ক্রয় করা যেতে পারে, যার অটো-কাট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা বিদ্যুৎ বিল কমাতে সাহায্য করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



