জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি মৌসুমে অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের সবজি চাষ করেছিলেন জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা। সঠিক নিয়ম মেনে যত্ন নেওয়ায় ও আবহাওয়া চাষের অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। আর বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। শীতকালীন আগাম সবজির দামে খুশি যশোরের কৃষকরা।
কৃষক রফিউদ্দিন ইসলাম বলেন, এবারের মৌসুমে আমি ৫ বিঘা জমিতে বাঁধা কপির চাষ করেছি। ইতিমধ্যে বাজারজাত শুরু হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ার আশায় মৌসুমের আগে থেকেই কপির চাষ করেছিলাম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আর্থিকভাবে লাভবানের স্বপ্ন দেখছি। গত মৌমুমেও আমি সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে বাঁধা কপির চাষ করেছিলাম।
আরেক কৃষক শহিদুল আলম জানান, আমি ৪ বিঘা জমিতে বাঁধা জমি ও ১ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। ভরা মৌসুমে চাষ করলে বাজারে তেমন দাম পাওয়া যায়না। তাই তিনি যে কোন সবজির চাষ আগেভাগেই করেন।
সবজি বিক্রেতা শংকর কুমার বলেন, বাজারে শীতকালিন আগাম সবজি উঠেছে। শিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি, টমেটো ২০০ টাকা, ফুলকপি ১৬০ টাকা, মুলা ও পাতা কপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি হিসেবে। এসব সবজি আগাম আসার কারণে দাম বেশি। আর ২ মাস পরে সবজির দাম কমে যাবে।
জেলার আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র জানান, এখানকার সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশ বিদেশের বাজারে। দুটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সবজি বিদেশ যাচ্ছে। সবজির বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।