জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটে বেড়েই চলছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ির সংখ্যা। এমনকি দেখা মেলে একই নম্বর প্লেটে চলছে একাধিক গাড়ি। এসব অনিয়মে মামলা দেয়ার নিয়ম থাকলেও অভিযোগ উঠেছে, মামলা না দিয়ে আদায় করা হচ্ছে টাকা। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
বিআরটিএ প্রতিটি গাড়ির জন্য আলাদা আলাদা নম্বর প্লেট দিলেও লালমনিরহাটে অনুসন্ধানে দেখা মেলে একই রেজিস্ট্রেশন নম্বরে রয়েছে অন্তত ছয়টি গাড়ি। অন্যদিকে, জেলায় চলাচলরত যানবাহনে ব্যবহার হচ্ছে ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর।
এছাড়াও ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে অহরহ ধরা পড়ছে এ ধরনের অনিয়ম। আইন অনুযায়ী এসব যানবাহন ও মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা থাকলেও ট্রাফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আর্থিক অনিয়মের।
ভুক্তভোগী লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার ফারুক জানান, ব্যবসায়ীক কাজে তার ছেলেকে মোটরসাইকেল নিয়ে লালমনিরহাটে পাঠালে টিএসআই মহসীন আলী তার ছেলেকে আটক করে। বিষয়টি জানার পর একটি ছোট মামলা দিয়ে গাড়িটি ছাড়ার জন্য অনুরোধ করলে টিএসআই মহসীন নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশ নম্বরে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে ছেড়ে দেন। কিন্তু কোনো মামলা দেননি।
লালমনিরহাট জজকোটের আইনজীবী রাশেদুল ইসলাম রনি বলেন, শহরে দিন দিন ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশের কোনো অভিযান চোখে পড়ছে না। এর ফলে সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব।
বিআরটিএ লালমনিরহাট সার্কেলের সহকারী পরিচালক রাশেদ মিলন বলেন, এভাবে একটি নম্বর ব্যবহার করে গাড়ি চলাচল করা বেআইনি। সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮ এর ধারা ১৭ অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার বা প্রদর্শন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড হবে।
লালমনিরহাট ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (শহর ও যানবাহন) আশীষ কুমার পাল জানান, এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। এছাড়া ভবিষ্যতে আরও অভিযান বাড়ানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।