লাইফস্টাইল ডেস্ক : ৪০ বছর হতেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকের কথায় এই ৪ কাজ নিয়মিত করুন, আপনার মুখের বলিরেখা ধীরে ধীরে মলিন হতে শুরু করবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩০ পেরতেই অ্যান্টি-এজিং স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করা উচিত। কিন্তু একান্তই যদি সেই নিয়ম পালন না করতে পারেন, তবে ৪০ পেরনোর পরে আর অপেক্ষা করা যাবে না! আপনার বয়স ৪০-এর কোঠায় হলে আজ থেকেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া শুরু করুন।
বিশিষ্ট কসমেটোলজিস্ট, ডাঃ আকাঙ্খা সিং এই বিষয়ে বিশেষ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেন্সেস ক্লিনিকের সঙ্গে যুক্ত আকাঙ্খা। ৪০-এর পরেও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কী ভাবে যত্ন নিতে হবে? চিকিৎসকের পরামর্শ প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
৮-১২ গ্লাস জল নিয়মিত পান করার পরামর্শ দেন আকাঙ্খা সিং। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। জল আপনার শরীরের টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। হাইড্রেশনের অভাব হয় না। তাই ত্বকেও এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে না।
মনে রাখবেন, রুক্ষ ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি, তাই চিরতরুণ লাবণ্য পেতে ত্বকে আর্দ্রতার পরিমাণও ঠিক রাখা জরুরি। এছাড়াও প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। আপনি হাঁটতে পারেন। জিম, অ্যারোবিক্স বা যোগাসন করতে পারেন নিয়মিত।
সূর্যালোকের ক্ষতিকারক রশ্মি দিনের পর দিন ত্বকের উপর কুপ্রভাব ফেলে। UV-এর কারণেও ত্বকে দ্রুতই বয়সের ছাপ পড়তে পারে। মুখের নানা অংশে কালচে দাগছোপ দেখা যায়। ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ‘ফটোএজিং’ বলে।
তাই দিনের বেলায় বাইরে বেরনোর আগে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। বাইরে যাওয়ার অন্তত ১৫ মিনিট আগে মুখে, হাতে ভালো করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। এসপিএফ ৩০ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
ডায়েটে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারেন আপনি। এটি আপনার ত্বকের জন্যে সত্য়িই উপকারী। কোকোয়া, বিন, সবুজ শাক-সবজি, বিট, গাজর, বাঁধাকপি, ব্লুবেরি, চেরি নিয়মিত খেতে পারেন। এছাড়াও, ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ ফলও আপনার ডায়েটে রাখতে পারেন। শরীরও ভালো থাকবে, ত্বকের জেল্লাও হবে দেখার মতো।
অ্যান্টি-এজিং স্কিনকেয়ার রুটিনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি আপনার ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। স্বাভাবিকভাবে, ত্বকের টানটান ভাব বজায় থাকে। আপনিও পান চিরতরুণ লাবণ্য। কিন্তু মুখে রেটিনয়েড ব্যবহার করার আগে অবশ্য়ই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
এর সঙ্গেই নিয়মিত ক্লিনজিং এবং এক্সফোলিয়েশন করাও জরুরি। এটি আপনার ত্বকের উপর থেকে মৃত কোষ সরিয়ে দিতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক ভালো থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।