জুমবাংলা ডেস্ক : কিছু দিন আগেই হয়েছিল বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক এলাকা থেকে দেখা গিয়েছিল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এবার আরও একটি বিরল ঘটনার সাক্ষী বিশ্ববাসী। এবার রাতের আকাশে দেখা মিললো গোলাপি রঙের চাঁদ। তবে এবার বঞ্চিত হয়নি বাংলাদেশও। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের বাসিন্দাদের মতই দেশের আকাশেও দেখা যাচ্ছে এই দৃশ্য।
বুধবার ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর থেকে গোলাপী চাঁদ দেখতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছোটে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এ সময় গোলাপী চাঁদ দেখতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পে গোলাপী চাঁদের ইতিহাস সর্ম্পকে স্পষ্ট ধারণাও পান তারা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান জাদুঘর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সূর্যাস্তের পর থেকে পরবর্তী দুই ঘণ্টা পর্যন্ত (আকাশ মেঘমুক্ত থাকা সাপেক্ষে) এ চাঁদ দেখা যাবে। এ জন্য আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান জাদুঘরের প্রশাসনিক ভবনের ছাদে স্থাপন করা হয় শক্তিশালী টেলিস্কোপ।
এ টেলিস্কোপ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে আমন্ত্রণ জানায় বিজ্ঞান জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, এ বছরের গোলাপি চাঁদ পরিপূর্ণরূপে ধরা পড়বে দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল-তিন দিন দেশটিতে এই চাঁদ দেখা যাবে। আর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে বুধবার।
এপ্রিল মাসে যে পূর্ণিমা দেখা যায় তাকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়। এটি স্প্রাউট মুন, এগ মুন, ফিশ মুন, ফাশায় মুন, ফেস্টিভাল মুন, ফুল পিঙ্ক মুন, ব্রেকিং আইস মুন, বডিং মুন, বিগিনিং মুন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানায়, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ধূলিকণা এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের শক্তির কারণে অনেক সময় চাঁদের রঙের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া দূষণও পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে আসা আলো তাদের নিজ নিজ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অনেক প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, যার মধ্যে নীল রঙকে সবচেয়ে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। লাল রঙও বহু দূরে যায়।
এই কারণে, যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামী, নীল, হালকা নীল, রূপালি, সোনালি, হালকা হলুদ রঙের দেখায়। আর বিভ্রমের কারণে একে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও দেখায়। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় একে রিলে স্ক্যাটারিং বা আলোর বিচ্ছুরণও বলা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।