বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : স্মার্টফোনের ঢের সব সুবিধার মধ্যে বেশ কিছু ফিচার অনেকের অজানাই থেকে যায়। এসব ফিচার ব্যবহার করা গেলে প্রতিদিনের জীবনের অনেক সমস্যাই খুব সহজে সমাধান হয়ে যায়।
সাধারণত সবাই নির্দিষ্ট কিছু কাজের ক্ষেত্রেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে। ওয়েবসাইট দেখা, ই-মেইল আদান–প্রদান, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ চালানো, ভিডিও কল করা, গান শোনা, ভিডিও দেখা, মেসেজ পাঠানোসহ অনেক কাজেই এই স্মার্টফোন ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে এগুলোর বাইরেও বেশ কিছু দরকারি ও জরুরি প্রয়োজনে এই স্মার্টফোনগুলো ব্যবহার করা যায়।
ফাইল স্ক্যান করা
ফাইল স্ক্যান করার জন্য সাধারণত সবাই সাইবারের দোকানগুলোতে ভিড় করে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো ফাইল বা নথি যে কোনো সময় ঘরে বসেই হাতের স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্ক্যান করে পিডিএফ, ওয়ার্ড ফাইল, ছবি বা যে কোনো আকারে সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
টেলিভিশন ও এসির রিমোট হিসেবে ব্যবহার
টেলিভিশন ও এসির রিমোটের বিকল্প হিসেবে এই স্মার্টফোন ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করে এই সুবিধা পেতে পারেন স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা। চ্যানেল পরিবর্তন, শব্দ বাড়ানো বা কমানো বা এসির ক্ষেত্রে রুমের তাপমাত্রা পরিবর্তনের মতো কাজগুলো স্মার্টফোন দিয়েই করা যায়।
মাপজোখ করা
অনেক সময় হাতের নাগালে মাপজোখ করার ফিতা বা স্কেল থাকে না। তখন স্মার্টফোনের ক্যামেরা এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাপজোখের কাজ করা যেতে পারে। আইফোনের মেজার অ্যাপ এবং অ্যান্ড্রয়েডে গুগল প্লে স্টোর থেকে যে কোনো মেজার অ্যাপ নামিয়ে নিলেই অসুবিধার সময়েও কোনো কাজ থেমে থাকবে না।
হার্টবিট বা হৃৎস্পন্দন পর্যবেক্ষণ করা
স্মার্ট ঘড়ি ছাড়াও স্মার্টফোন দিয়ে সহজে হৃৎস্পন্দন মাপা যায়। এ জন্য স্মার্টফোনে বিভিন্ন অ্যাপ নামিয়ে সুবিধাটি ব্যবহার করতে হবে। অ্যাপ স্টোরে বিনামূল্যে এমন অ্যাপ পাওয়া যায়।
ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে ব্যবহার
স্মার্টফোনে বিভিন্ন ব্যাংক কার্ড, বোর্ডিং পাস, টিকিট, চিকিৎসা বীমা কার্ড যুক্ত করা যায়। আইফোন ব্যবহারকারীরা অ্যাপল ওয়ালেট ব্যবহার করে এ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
টাইমার দিয়ে নিজের ছবি তোলা
কখনো কখনো একা ভ্রমণে গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডকে পিছনে রেখে সুন্দর ছবি তুলতে ইচ্ছা করলেও সেই ধরনের সুযোগ থাকে না। তবে স্মার্টফোনের ক্যামেরায় টাইমার অপশনটি ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি সুন্দর করে সেট করে নিজে নিজেই সুন্দর ছবি তোলা যায়।
গাড়ি চালু করা
স্মার্টফোনকে ব্যবহার করেই গাড়ি লক বা আনলক করা যায়। আর গাড়ির চাবির আলাদা করে এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে না। তবে গাড়ির মডেল, সংস্করণ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর এই ফিচারটি নির্ভর করে। গাড়িতে এই ফিচার না থাকলে, স্মার্টফোন থেকে সুবিধাও নেয়া যায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।