বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : কভিড-১৯ মহামারী ও এর পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক প্রযুক্তি বাজারে উত্থান-পতন হয়েছে। মহামারীতে পণ্যের বিক্রি বাড়লেও এরপর চাহিদা কমেছে। এদিক থেকে ভারতের বাজার অন্যতম। আর চলতি বছর দেশটির স্মার্টফোন বাজার বড় ধরনের পরিবর্তন দেখতে পেয়েছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এ পরিবর্তন হার আরো বাড়বে। খবর গিজমোচায়না।
বিশ্বের অন্যতম বড় এ বাজারে কয়েক প্রান্তিক আগেও যে কোম্পানি শীর্ষে ছিল বর্তমানে তার অবস্থান শেষের দিকে। ব্যয়বহুল বা ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস ক্রয়ের চাহিদা বাড়ায় গড় বিক্রি মূল্য বেড়েছে। যদি শীর্ষ পাঁচে থাকা কোম্পানিগুলো আগের মতোই আছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইডিসি।
২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের স্মার্টফোন বাজারে ১৬ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভিভো। এরপর ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ হিস্যা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্যামসাং। শাওমি এক বছর আগে এ অবস্থানে থাকলেও বর্তমানে ১১ শতাংশ হিস্যা নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে চীনের এ প্রযুক্তি কোম্পানিটি। ১২ দশমিক ৬ শতাংশ হিস্যা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রিয়েলমি। অন্যদিকে ওয়ানপ্লাস, অ্যাপল, পকো, টেকনো ও ইনফিনিক্স শীর্ষ ১০-এর তালিকায় রয়েছে।
বছরওয়ারি হিসেবে পকোর প্রবৃদ্ধি ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ। যা সবচেয়ে বেশি। সি সিরিজের মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে ভি সিরিজের মাধ্যমে শীর্ষ স্থান দখল করেছে ভিভো। ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে ভারতের স্মার্টফোন বাজার সংকুচিত হয়ে ৬ কোটি ৪০ লাখ ইউনিট উৎপাদনে থমকে গিয়েছিল। বছরওয়ারি হিসেবে জাহাজীকরণ বা বিক্রির হার ১০ শতাংশ কম। এছাড়া বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রি ৩ শতাংশ কমে ৩ কোটি ৪০ লাখ ইউনিটে নেমে আসে।
ভেন্ডররা মজুদ থাকা পণ্য বিক্রির চেষ্টা চালিয়েছেন। শিপমেন্ট বাধাগ্রস্ত হলেও সেলফোন ক্রয়ে মূল্যহ্রাস, বিশেষ সুবিধা ও ডিসকাউন্টও চালু করা হয়েছিল। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ভারতে অফলাইনের স্মার্টফোন বিক্রি ১১ শতাংশ বেড়েছে এবং বাজার হিস্যা ৫৪ শতাংশ স্পর্শ করেছে।
আইডিসির প্রতিবেদন বলছে, কয়েক মাসে ভারতের বাজারে প্রিমিয়াম বা বেশি দামের স্মার্টফোনে চাহিদা ও ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসের বাজার হিমশিম খেয়েছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোনের গড় বিক্রি মূল্য ২৪১ ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এর বৃদ্ধির হার ১৩ শতাংশ। এছাড়া ২০০ ডলার মূল্যের স্মার্টফোন বাজার বছরওয়ারি হিসেবে ৭০-৬৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
অন্যদিকে ৬০০ বা তার বেশি ডলারের প্রিমিয়াম সেগমেন্ট বছরওয়ারি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখতে পেয়েছে। ২০০-৪০০ ডলার মূল্যের ডিভাইস মিডরেঞ্জের মধ্যে পড়ে। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এ বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। মিড রেঞ্জের পাশাপাশি প্রিমিয়াম সেগমেন্টে অ্যাপল ও ওয়ানপ্লাস ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে ভালো প্রবৃদ্ধি দেখতে পেয়েছে। অ্যাপলের ডিভাইসের গড় বিক্রি মূল্য ছিল ৯২৯ ডলার। আগের বছরের তুলনায় যা ৬১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বাজার বিশ্লেষকদের মনে হচ্ছে চলতি বছর হয়তো ভারতের স্মার্টফোন বাজার লোকসানে পড়তে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।