বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : স্মার্টফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। ফ্ল্যাগশিপ মডেল হোক বা বাজেট ফো— যথাযথ ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার অভাবে স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা দ্রুত কমতে থাকে। স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে।
তবে নিয়মিত কিছু কৌশল মেনে চললে ফোনের কার্যক্ষমতা দীর্ঘদিন ভালো রাখা যায় যেসব কৌশলে, দেখে নেওয়া যাক সেগুলো—
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেলা
নিয়মিত ব্যবহার না করলেও অনেকের ফোনে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন অ্যাপ ইনস্টল করা থাকে। এসব অ্যাপ ফোনের স্টোরেজ দখল করে রাখার পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে। ফলে প্রসেসিং পাওয়ার ও ব্যাটারি খরচ হতে থাকে। ফোনের কার্যক্ষমতা ভালো রাখতে হলে কিছুদিন পরপর ইনস্টল করা অ্যাপের তালিকা পর্যালোচনা করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো মুছে ফেলতে হবে। ফোনে প্রি-ইনস্টল করা অ্যাপগুলো মুছে ফেলা যায় না। তাই সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে রাখতে হবে। এর ফলে সেগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকবে না।
স্টোরেজ ব্যবস্থাপনা
অপ্রয়োজনীয় ফাইল, অডিও, ভিডিও ও ডকুমেন্ট জমতে জমতে ফোনের স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যায়, যা ফোনের গতি কমিয়ে দেয়। তাই নিয়মিত ফাইল ম্যানেজার বা স্টোরেজ অপশন থেকে বড় ও অব্যবহৃত মিডিয়া ফাইলগুলো মুছে ফেলতে হবে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর ফোন ধীরগতির হয়ে গেলে ফ্যাক্টরি রিসেট করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার
হালনাগাদ সংস্করণের অ্যাপগুলোতে সাধারণত শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা যুক্ত থাকার পাশাপাশি কাজের গতি বৃদ্ধি করা হয়। আর তাই ফোনের স্বয়ংক্রিয় আপডেট অপশন চালু করে নিয়মিত হালনাগাদ সংস্করণের অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। একইভাবে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে বিভিন্ন অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ ইনস্টল করতে হবে।
সুরক্ষিত কভার ও স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার
দুর্ঘটনাবশত হাত থেকে পড়ে গেলে বা পানির সংস্পর্শে এলে ফোনের অভ্যন্তরীণ হার্ডওয়্যারের ক্ষতি হয়, যা দীর্ঘ মেয়াদে ফোনের কর্মক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। আর তাই ফোনে শক্ত কভার ও স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করতে হবে।
চার্জিং পোর্ট ও স্পিকার পরিষ্কার
চার্জিং পোর্ট ও স্পিকারে ধুলা জমে গেলে চার্জ নেওয়ার সমস্যা হতে পারে বা অডিও আউটপুট কমে যেতে পারে। তাই নরম ব্রাশের মাধ্যমে চার্জিং পোর্ট ও স্পিকার নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কখনোই ধারালো কিছু ব্যবহার করা যাবে না; কারণ, এতে ফোনের হার্ডওয়্যারের ক্ষতি হতে পারে।
অতিরিক্ত তাপ ও পানির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা
অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতা ফোনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহারে ব্যাটারি দ্রুত গরম হয়ে যায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে এর স্থায়িত্ব কমতে পারে। ফোন অতিরিক্ত গরম হলে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ করতে হবে এবং স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দিতে হবে। ফোনের আইপি রেটিং দেখে বুঝে নিতে হবে, এটি কতটা পানিরোধী। যদি ফোন পানিতে পড়ে যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে সম্পূর্ণ শুকানোর পর চালু করতে হবে।
OPPO এবং OnePlus আনতে চলেছে 8,000mAh ব্যাটারির শক্তিশালী স্মার্টফোন!
ব্যাটারির যত্ন
ফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়ানোর জন্য সঠিক চার্জিং অভ্যাস অনুসরণ করা জরুরি। ব্যাটারির চার্জ ২০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ফাস্ট চার্জিং এড়িয়ে চলা ভালো, কারণ এটি ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয়। ফোন দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে গেলে বা চার্জ দেওয়ার সময় অতিরিক্ত গরম হলে ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হবে।
সূত্র : অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।