আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই মধ্যে প্রায় ১১ মাস হতে চলল এই যুদ্ধ। দীর্ঘ এই যুদ্ধে ডোনবাস (ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক), জাপোরিঝঝিয়া দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা। এরই মধ্যে গণভোটের মাধ্যমে এই চার অঞ্চলকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূতও করে নিয়েছে রাশিয়া। যদিও এখনও এই অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দ্বীপও দখল করে নেয় রাশিয়া।
এসব অঞ্চল দখলেও নিলেও সুইডেনের রুশ দূতাবাস থেকে টুইটারে প্রকাশিত একটি মানচিত্র নিয়ে নেটদুনিয়ায় হাসাহাসি চলছে। কেননা, ওই মানচিত্রে ক্রিমিয়া ছাড়াও নতুন করে দখল করে নেওয়া চার অঞ্চল তথা ডোনেটস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসনকে দেখানো হয়েছে ইউক্রেনের অংশ হিসেবে।
আর সেই পোস্টের কারণে নেটমাধ্যমে উপহাসের শিকার হচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার।
প্রসঙ্গত, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জ্বালানি তেলের দামের পরিসংখ্যান দিতে গিয়েই ওই মানচিত্রটি পোস্ট করা হয়েছিল।
Gasoline prices per liter, 9 January 2023 pic.twitter.com/cUbJjhuVQx
— Russian Embassy, SWE (@RusEmbSwe) January 17, 2023
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা করেন পুতিন। তার আগে রুশ সীমান্ত লাগোয়া পূর্ব-ইউক্রেনের ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। ওই দুই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বড় অংশ রুশ।
ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র দখলে রাখার জন্য পুতিন জাপোরিঝঝিয়াকে রুশ মানচিত্রে জুড়তে চান বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, বন্দর শহর ক্রিমিয়া ও খেরসনের জন্য রুশ প্রেসিডেন্টের আগ্রহের মূল কারণ কৃষ্ণসাগরের উপর বছরজুড়ে নিয়ন্ত্রণ কায়েম রাখা। কারণ, মূল রুশ ভূখণ্ডের প্রতিটি বন্দরই বরফ জমার কারণে শীতে বন্ধ হয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।